প্রসঙ্গত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য আগেই জানিয়েছিলেন, পুজোর আগেই ফল প্রকাশ করা হবে। সে ক্ষেত্রে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ফল প্রকাশ করতে গেলে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন বলে মত স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের একাংশের। তাই সেই বিষয়টিও ভাবাচ্ছে পর্ষদের আধিকারিকদের বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন- উত্তর প্রদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনে প্রফেসর, প্রিন্সিপাল, লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ!
advertisement
অন্যদিকে প্রশ্ন ভূল মামলা নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তির মুখে পড়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তাই টেটের ফল প্রকাশ নিয়ে নতুন করে কোনও অস্বস্তি বা বিতর্ক চাইছে না পর্ষদ ও স্কুল শিক্ষা দফতর। তার জেরে গত ৩১ জানুয়ারি নেওয়া প্রাথমিকের টেটের ‘চূড়ান্ত উত্তরপত্র’ আপলোড করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই খসড়া উত্তরপত্র প্রকাশ করেছিল পর্ষদ। সাত দিনের মধ্যে প্রার্থীদের মতামত চেয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ খসড়া উত্তরপত্র নিয়ে। সেই উত্তর আসার পর বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়ার পরেই চূড়ান্ত উত্তরপত্র প্রকাশ করেছে পর্ষদ এমনটাই দাবি পর্ষদের আধিকারিকদের। সে ক্ষেত্রে কয়েকটি উত্তর সংশোধন হয়েছে বলেই দাবি প্রার্থীদের একাংশের। যদিও তা খারিজ করেনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকরাও।
প্রকাশিত চূড়ান্ত উত্তরপত্রে দেখা গেছে, কয়েকটি প্রশ্নে এবারও বিভ্রান্তি ছিল। যার জেরে ৬টি প্রশ্নের উত্তরে দুটি করে অপশন দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ওই দুটি অপশনের মধ্যে যেকোনও একটি অপশন দিলেই তাকে পুরো নম্বর দেওয়া হবে। পাশাপাশি পরিবেশ বিজ্ঞানের একটি প্রশ্নই ভুল ছিল। চূড়ান্ত উত্তরপত্রে তা স্বীকার করে নেওয়ার পাশাপাশি পর্ষদ জানিয়েছে ওই প্রশ্নের উত্তর লিখলেই পুরো নম্বর পাওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে ২০১৪ টেটের পুনরাবৃত্তি চাইছে না এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তার জেরেই আগেভাগেই উত্তরপত্র আপলোড করে পর্ষদ তার অবস্থান স্পষ্ট করলো বলেই মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ‘প্রশ্ন ভুল’ মামলায় যথেষ্ট অস্বস্তির মুখে পড়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। শুধু তাই নয় হাইকোর্টের নির্দেশে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের চাকরিও দিতে হচ্ছে পর্ষদকে। প্রসঙ্গত গত কয়েক বছর ধরে প্রাথমিকের টেট নিলেও এইভাবে উত্তরপত্র আপলোড করেনি পর্ষদ। যদিও পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য আগেই ঘোষণা করেছিলেন এবার প্রার্থীদের সুবিধার্থে উত্তরপত্র আপলোড করা হবে। সে ক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে টেটের নিয়োগ প্রক্রিয়াতে আরও স্বচ্ছতা রাখার জন্যেই এই পদ্ধতি নেওয়া হল।
যদিও একাধিক প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে দেখা যায় উত্তরপত্র আপলোড করে দেওয়া হয়। এবার সেই পদ্ধতি কার্যত অনুসরণ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। একাংশের মতে এর ফলে আগামী দিনে টেট নিয়ে কোনও প্রশ্ন বা বিতর্ক উঠলে উত্তর দেওয়ার জায়গায় থাকবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়