কত দূরত্ব বিমানে যাবেন? ৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে ভাড়া বেঁধে দিল কেন্দ্র! আপনার কত পড়বে দেখে নিন
সপ্তাহের সবচেয়ে খারাপ দিন কোনটা? ঘোষণা করে দিল গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস! দেখুন আপনার সঙ্গে মেলে কিনা
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুরের দ্বিজেন চন্দ্র ভূঁইয়া। দীর্ঘ ২৩ বছর শিক্ষকতা করেছেন পটাশপুর ১ ব্লকের বাড়মঙ্গল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তিনি অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীকে শিক্ষিত করেছেন। তাদের জীবনে শিক্ষার আলো ছড়িয়েছেন। তারা আজ প্রতিষ্ঠিত। শিক্ষার মাধ্যমে যে আত্মিক সম্পর্ক তৈরি হয়, দ্বিজেন বাবুর কাছে সেটাই সম্বল। গত ৩০ এপ্রিল সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তিনি অবসর গ্রহণ করেছেন। কিন্তু বিদ্যালয় ও পড়ুয়াদের প্রতি তাঁর ভালবাসা এতটাই গভীর যে তিনি সহজে বাড়িতে বসে থাকতে পারেন না। বিদ্যালয়ে ফিরে এসে ছাত্রদের সঙ্গে সময় কাটান, তাদের সঙ্গে হাসি-খেলা, তাদের পড়ান—সবকিছুই তার জীবনের অংশ হয়ে গেছে। তাঁর কাছে বিদ্যালয় মানে শুধুই একটি স্থান নয়, বরং এটি যেন তার জীবন ও পরিচয়ের সঙ্গে জড়িত।
advertisement
অবসরের পরও তিনি প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসেন। কিন্তু কোনও পারিশ্রমিক প্রত্যাশা করেন না। তাঁর কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হল ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে সময় কাটান। পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলা, তাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, তাদেরকে উৎসাহিত করা—সবকিছুই তার জন্য ভাল থাকার একমাত্র উপায়। তিনি বলেন, “যতদিন বাঁচব, ততদিন এই বিদ্যালয়ে আসব। পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা না বললে যেন দিনটা পূর্ণ হয় না।” বিদ্যালয়ের প্রতিটি কোণ, প্রতিটি ক্লাসরুম তার কাছে মন্দির সমান।
দ্বিজেন চন্দ্র ভূঁইয়ার কথায়, যতদিন তার শরীর ও মন সহায়ক হবে, তিনি বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করবেন না। অবসরের বাকি সময়টুকু তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কাটাতে চান। তার কাছে বিদ্যালয় মানে শুধুই একটি স্কুল নয়, বরং জীবন ও শিক্ষার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তার এই নিষ্ঠা, পড়ুয়াদের প্রতি ভালবাসা এক অনন্য দৃষ্টান্ত, যা প্রমাণ করে যে শিক্ষকতা শুধু একটি পেশা নয়, বিদ্যালয় ও পড়ুয়াদের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক।