TRENDING:

East Medinipur News: 'স্যার' ডাক শুনতে অবসরের পরেও রোজ স্কুলে আসেন শিক্ষক! বিনা বেতনে পড়ুয়াদের ক্লাস নেন, চেনেন তাঁকে?  

Last Updated:

East Medinipur News: অবসর মানেই বিশ্রাম নয়! এখনও প্রতিদিন স্কুলে আসেন এই শিক্ষক, ক্লাস নেন বিনা বেতনে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পটাশপুর, মদন মাইতি: অবসর গ্রহণ করেছেন ছ’মাস হল। কিন্তু এখনও তিনি নিয়মিত স্কুলে যান। স্কুলের ঘন্টা পড়লেই ক্লাসরুমে প্রবেশ করে পড়ুয়াদের গলায় ‘গুড মর্নিং স্যার’ কথাটা শুনলে তাঁর মনটা যেন খুশিতে ভরে ওঠে। বিনা বেতনে তিনি সেই আগের মতো ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ান। প্রতিদিন ক্লাসে বসে থাকলে যেন তাঁর দিনটা খুশিতে ভরে ওঠে। তাঁর চোখে পড়ুয়াদের জন্য এক বিশেষ মমতার প্রকাশ দেখা যায়। পড়ুয়াদের সঙ্গে তার তার যেন আত্মিক সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছে। বিদ্যালয় তাঁর কাছে শুধুই কর্ম তীর্থ নয়, বরং একটি পরিবারের মত।
advertisement

কত দূরত্ব বিমানে যাবেন? ৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে ভাড়া বেঁধে দিল কেন্দ্র! আপনার কত পড়বে দেখে নিন

সপ্তাহের সবচেয়ে খারাপ দিন কোনটা? ঘোষণা করে দিল গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস! দেখুন আপনার সঙ্গে মেলে কিনা

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুরের দ্বিজেন চন্দ্র ভূঁইয়া। দীর্ঘ ২৩ বছর শিক্ষকতা করেছেন পটাশপুর ১ ব্লকের বাড়মঙ্গল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তিনি অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীকে শিক্ষিত করেছেন। তাদের জীবনে শিক্ষার আলো ছড়িয়েছেন। তারা আজ প্রতিষ্ঠিত। শিক্ষার মাধ্যমে যে আত্মিক সম্পর্ক তৈরি হয়, দ্বিজেন বাবুর কাছে সেটাই সম্বল। গত ৩০ এপ্রিল সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তিনি অবসর গ্রহণ করেছেন। কিন্তু বিদ্যালয় ও পড়ুয়াদের প্রতি তাঁর ভালবাসা এতটাই গভীর যে তিনি সহজে বাড়িতে বসে থাকতে পারেন না। বিদ্যালয়ে ফিরে এসে ছাত্রদের সঙ্গে সময় কাটান, তাদের সঙ্গে হাসি-খেলা, তাদের পড়ান—সবকিছুই তার জীবনের অংশ হয়ে গেছে। তাঁর কাছে বিদ্যালয় মানে শুধুই একটি স্থান নয়, বরং এটি যেন তার জীবন ও পরিচয়ের সঙ্গে জড়িত।

advertisement

অবসরের পরও তিনি প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসেন। কিন্তু কোনও পারিশ্রমিক প্রত্যাশা করেন না। তাঁর কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হল ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে সময় কাটান। পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলা, তাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, তাদেরকে উৎসাহিত করা—সবকিছুই তার জন্য ভাল থাকার একমাত্র উপায়। তিনি বলেন, “যতদিন বাঁচব, ততদিন এই বিদ্যালয়ে আসব। পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা না বললে যেন দিনটা পূর্ণ হয় না।” বিদ্যালয়ের প্রতিটি কোণ, প্রতিটি ক্লাসরুম তার কাছে মন্দির সমান।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
মানুষ দেখলেই ছুটে এসে কামড়! সীমান্তবর্তী গ্রামে কুকুরের হামলায় জখম ৫০-এর বেশি
আরও দেখুন

দ্বিজেন চন্দ্র ভূঁইয়ার কথায়, যতদিন তার শরীর ও মন সহায়ক হবে, তিনি বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করবেন না। অবসরের বাকি সময়টুকু তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কাটাতে চান। তার কাছে বিদ্যালয় মানে শুধুই একটি স্কুল নয়, বরং জীবন ও শিক্ষার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তার এই নিষ্ঠা, পড়ুয়াদের প্রতি ভালবাসা এক অনন্য দৃষ্টান্ত, যা প্রমাণ করে যে শিক্ষকতা শুধু একটি পেশা নয়, বিদ্যালয় ও পড়ুয়াদের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/শিক্ষা/
East Medinipur News: 'স্যার' ডাক শুনতে অবসরের পরেও রোজ স্কুলে আসেন শিক্ষক! বিনা বেতনে পড়ুয়াদের ক্লাস নেন, চেনেন তাঁকে?  
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল