আরও পড়ুন- স্কুলছুটদের ফেরাতে ফের শুরু হোক মিড ডে মিল, কেন্দ্রকে অনুরোধ সোনিয়া গান্ধির!
PMNCH-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৪১ শতাংশ প্রতিবন্ধী শিশুই (Disabled Students Dropout) তাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হয় এবং প্রতিবন্ধকতা নেই এমন সমবয়সীদের তুলনায় অসন্তুষ্ট বোধ করে ৫১ শতাংশ শিশু। PMNCH আরও জানিয়েছে, শিশু এবং কিশোর কিশোরীরা প্রতিবন্ধীদের (Disabled Students Dropout) মধ্যে সবচেয়ে প্রান্তিক এবং প্রতিবন্ধকতাযুক্ত গোষ্ঠীর প্রতি বৈষম্যের শিকার হওয়া সত্ত্বেও সাধারণ স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মসূচিতে তাদের অগ্রাধিকার কম।
advertisement
“যাদের কোনও প্রতিবন্ধকতা নেই এমন সমবয়সীদের তুলনায়, প্রতিবন্ধী শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের (০-১৭ বয়সী) উচ্চমাধ্যমিকের আগেই স্কুলছুট (Disabled Students Dropout) হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ২৭ শতাংশ বেশি, ৪১ শতাংশ পড়ুয়া অন্যদের তুলনায় বেশি বৈষম্য বোধ করে এবং ৫১ শতাংশ অন্যদের তুলনায় অসন্তুষ্ট,” বলা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
আরও পড়ুন- এবার গ্রামীণ স্টেশনেও বিনামূল্যে ওয়াইফাই পরিষেবা! ৬০০০-এর বেশি স্টেশনে এই সুবিধা
PMNCH-এর কার্যনির্বাহী পরিচালক হেলগা ফগস্ট্যাড জানন, পদ্ধতিগত বাধা, প্রতিবন্ধী নারী ও মেয়েদের পরিস্থিতির তথ্য সংগ্রহে ব্যর্থতা ইত্যাদি সব কারণে সমাজের মধ্যে থেকেও যেন ওদের অবস্থা কারও চোখেই পড়ে না।
“তারা একাধিক ধরনের বৈষম্যের অভিজ্ঞতা অর্জন করে, জীবনের বিভিন্ন দিক থেকে বাদ পড়ে যায় তারা, তাদের স্বাস্থ্য ক্রমাগত অবহেলায় জীর্ণ হতে থাকে এবং তাদের আর্থ-সামাজিক বৈষম্যের পথ আরও যেন প্রশস্ত হয়ে যায়। দারিদ্র্যের হার বাড়ে, শিক্ষার হার কমে এবং বেকারত্বের হার বাড়ে,” বলেন হেলগা ফগস্ট্যাড।
ইনক্লুসিভ হেলথ গ্রুপ, ইন্টারন্যাশনাল ডিসেবিলিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কনসোর্টিয়ামের (আইডিডিসি) আন্দ্রেয়া প্রেগেল জানান, প্রতিবন্ধকতাকে কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা প্রত্যেকের দায়িত্ব, শুধুমাত্র কয়েকটি বিশেষ সংস্থার কাজ নয়। প্রেগেল আরও বলেন, “এই বিষয়ে নিরন্তর সচেতনভাবে কাজ চালিয়ে যেতে হলে আমাদের আরও বিনিয়োগের প্রয়োজন; মূলধারার সংস্থা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠন, এবং প্রতিবন্ধী অন্তর্ভুক্তিতে প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং আরও ভালো সহযোগিতা প্রয়োজন।”