শিক্ষা দফতরের ব্যাখ্যা, শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী পঞ্চম শ্রেণিটি প্রাথমিক স্তরেই থাকার কথা। যদিও রাজ্যের পূর্বতন শিক্ষানীতি অনুযায়ী, পঞ্চম শ্রেণি ছিল মাধ্যমিক স্তরেই। পরবর্তী কালে উচ্চ প্রাথমিকে আলাদা করা হলে পঞ্চম শ্রেণি তার অধীনে চলে আসে। ২০১৯ সাল থেকে ধাপে ধাপে পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিকের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হয় শিক্ষা দফতরের তরফে।
advertisement
আরও পড়ুন: শীতের আমেজে সামান্য টান, উইকেন্ডে ফুরফুরে হাওয়া উধাও! জাঁকিয়ে ঠান্ডা কবে থেকে? জানুন ওয়েদার আপডেট
শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছিল কোনও স্কুলে ছ’টি শ্রেণি কক্ষ থাকলেই সেখানে পঞ্চম শ্রেণির পঠনপাঠন চালু করা যাবে। সেই নিয়মকে শিথিল করা হয়েছে। এখন থেকে পাঁচটি শ্রেণিকক্ষ থাকলে পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিকের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে। ২০২০ সাল পর্যন্ত ১৭,৯৯৬টি প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি অন্তর্ভুক্ত ছিল। ২০২৫ সালে ২৩৩৫টি প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। ফের অনুমোদনের জন্য ২৩৩৮টি স্কুলে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তাতে সিলমোহর দিল শিক্ষা দফতর।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রের খবর, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যেখানে পঞ্চম শ্রেণিতে শিক্ষক কম এবং ছাত্র সংখ্যা ২০০ বা তার বেশি, সেই সব স্কুলগুলিকে প্রাথমিকের অধীনে নিয়ে আসা হচ্ছে। এর ফলে প্রাথমিকের শূন্যপদের সংখ্যাও কিছুটা বাড়বে। প্রাথমিকের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্তা বলেন, “পঞ্চম শ্রেণির এই স্কুলগুলি প্রাথমিকের অধীনে এলে প্রায় ১০০০ থেকে ১২০০ শূন্যপদ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।”
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালে এই ৫ রোগে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ভারতে, আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কতা নিন
শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী পঞ্চম শ্রেণিটি প্রাথমিক স্তরেই থাকার কথা। কিন্তু এ রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থায় পঞ্চম শ্রেণি ছিল মাধ্যমিক স্কুলে। পরবর্তী কালে উচ্চ প্রাথমিক আলাদা করা হলে তা তার অধীনে চলে আসে। ২০১৯ সাল থেকে ধাপে ধাপে পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিকের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হয় শিক্ষা দফতরের তরফে।
শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছিল কোনও স্কুলে ছ’টি শ্রেণি কক্ষ থাকলেই সেখানে পঞ্চম শ্রেণি পঠনপাঠন চালু করা যাবে। সেই নিয়মকে শিথিল করা হয়েছে। এখন থেকে পাঁচটি শ্রেণিকক্ষ থাকলে পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিকের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে। (সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়)
