TRENDING:

West Burdwan News : উচ্চ মাধ্যমিকের পরে কী করবেন ভাবছেন? বেছে নিন এই তিন কোর্স, কাজের সুযোগ প্রচুর

Last Updated:

অনেকেই এই কম্পিটিশনের বাজারে এমন কিছু বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে চাইছেন, যেখান থেকে কাজের সুযোগ পাওয়া যাবে খুব সহজে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পশ্চিম বর্ধমান: ইতিমধ্যেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। অনেকেই ভবিষ্যতে কি করবেন, তার দিশা নির্ধারণ করে ফেলেছেন। আবার হয়তো অনেকে এখনও টালবাহানার মধ্যে রয়েছেন। আগামী দিনে কি নিয়ে পড়াশোনা করবেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না। অনেকেই এই কম্পিটিশনের বাজারে এমন কিছু বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে চাইছেন, যেখান থেকে কাজের সুযোগ পাওয়া যাবে খুব সহজে। পাওয়া যাবে ভাল বেতন। আজকের এই প্রতিবেদনে তেমনি কয়েকটি কোর্সের সন্ধান দেওয়া হল। যে কোর্সগুলি বেছে নিলে ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
advertisement

১। ডেটা সাইন্স এন্ড আন্যালিটিক্স

ডেটা সাইন্স হল একটি বিশেষ কোর্স, যেখানে বিজ্ঞান, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি বিষয় থেকে বিভিন্ন ডেটা বা তথ্য সংগ্রহ করে, তার বিশ্লেষণ এবং তার প্রক্রিয়াকরণ করার পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়।

উচ্চমাধ্যমিকের পরে করা যেতে পারে বিএসসি ইন ডেটা সাইন্স। এই কোর্সটি পড়ার জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যা, অংক এবং রসায়নবিদ্যা বিষয় তিনটি নিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। এই কোর্সে ভর্তি হওয়ার নূন্যতম বয়সসীমা ১৭ বছর। ভর্তি হওয়ার জন্য বিশেষ কিছু প্রবেশিকা পরীক্ষাও রয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়ার জন্য এই সমস্ত পরীক্ষাগুলি দিতে পারেন। কলকাতার বেশ কয়েকটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেখানে ডেটা সায়েন্সে বিএসসি করা যায়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোর্সটি করতে ১ থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত কোর্স ফি হতে পারে।

advertisement

এই কোর্স করলে ভবিষ্যতে বড় বড় সংস্থায় বড় বড় পদে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যেতে পারে। বর্তমানে অ্যানালিটিক্স এবং ডেটা সায়েন্স এর মতো বিষয়গুলি সারা বিশ্বের প্রতিটি সংস্থার কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই কোর্স করে দেশে বিদেশে দুর্দান্ত কেরিয়ারের সুযোগ রয়েছে। অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট, উইপ্র, ইনফোসিস, রিলায়েন্সের মতো সংস্থায় চাকরি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে এই কোর্স করে সরকারি চাকরি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

advertisement

২। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এন্ড মেশিন লার্নিং

কম্পিউটার সায়েন্সের অধীনস্থ দুটি পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত বিষয় হল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং মেশিন লার্নিং। এই দুটি বিষয় ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম তৈরি করার জন্য সবচেয়ে বেশি শ্রেষ্ঠ। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং মেশিন লার্নিং একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত হলেও, এদের কার্যাবলী আলাদা। মানুষের চিন্তা করার ক্ষমতা এবং আচরণ হল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। অন্যদিকে, মেশিন লার্নিং হল মেশিনগুলিকে এআই এর মাধ্যমে প্রোগ্রাম করা, এবং মেশিন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে ধারণা।

advertisement

এই কোর্সটিতে ভর্তি হওয়ার জন্য বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষায় ৫০ শতাংশ নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। এই কোর্সের জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা রয়েছে। সেগুলি উত্তীর্ণ হলেও ভর্তি হওয়া যায়। পাশাপাশি কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধা অনুযায়ী ভর্তি হওয়া যায়। কলকাতা ছাড়াও রাজ্যের এবং দেশের বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই বিষয়ে বিটেক করার সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সাড়ে তিন লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত এই কোর্স ফি হতে পারে।

advertisement

আধুনিক দ্রুততার যুগে প্রযুক্তি ছাড়া আমরা অচল। শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য, কর্মক্ষেত্র থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য - সর্বত্রই উন্নত সফটওয়্যার, টেকনোলজি - ইত্যাদির অবদান অনস্বীকার্য। তাই চাহিদার ওপর নির্ভর করে এই কোর্সটি বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়। এই কোর্স করে দেশে বিদেশের প্রচুর চাকরির সুযোগ রয়েছে। গুগল, ফেসবুক, অ্যাপেলের মতো বিভিন্ন বড় বড় সংস্থা গুলিতে এই কোর্স করে চাকরি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

৩। ডিজিটাল মার্কেটিং

যে কোনও ব্যবসাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হলে মার্কেটিংয়ের বিকল্প নেই। মার্কেটিং এমন একটি হাতিয়ার যার, মাধ্যমে ব্যবসার প্রচার এবং প্রসার করা হয় খুব সহজে। বহুকাল আগে ব্যবসার ধরন ছিল একরকম, ঠিক তেমনি ভাবে ব্যবসার প্রচারের মাধ্যম ছিল ভিন্ন ধরনের।

সেই সময়ে ব্যবসা প্রচার এবং প্রসারের ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন, বিলবোর্ড, টিভিকে বিজ্ঞাপনের সাহায্য নিতে হতো। কিন্তু প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের চিন্তাধারার পরিবর্তন ঘটেছে। সেই সঙ্গে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ব্যাপক উন্নতি সাধন হচ্ছে। ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির তেমনি নতুন একটি মার্কেটিং পরিকল্পনার নাম হল ডিজিটাল মার্কেটিং। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে খুব অল্প সময়ের মধ্যে অধিক সংখ্যক গ্রাহকের কাছে পণ্যের প্রচার এবং প্রসার করাকে বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং।

আরও পড়ুন: এ কী কাণ্ড! চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে প্লাটফর্মে পড়ে গেলেন মহিলা যাত্রী, তারপর...

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পেশায় দিনমজুর আদিবাসী বৃদ্ধের ভুবন ভোলানো প্রতিভা! নিজের কানেই শুনুন
আরও দেখুন

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে হলে অল্প সময়ের ছোট ছোট কোর্স করলেই চলে। বেশ কিছু ছোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল মার্কেটিং এ ওপর ডিপ্লোমা করানো হয়। ডিপ্লোমা করার সুযোগ রয়েছে অনলাইনেও। এই কোর্স করার মাধ্যমে স্বাধীনভাবে করা যায় কাজ। ডিজিটাল মার্কেটিং ভালোভাবে বুঝতে পারলে, মাসে লক্ষ টাকা আয় করা খুব কঠিন কাজ হবে না। আবার খুব পরিশ্রমসাধ্য কাজও নয়। তাই যারা মার্কেটিংয়ে নিজের পেশা করার কথা চিন্তাভাবনা করছেন, তারা ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার বিষয়ে আগ্রহ রাখতে পারেন।

বাংলা খবর/ খবর/শিক্ষা/
West Burdwan News : উচ্চ মাধ্যমিকের পরে কী করবেন ভাবছেন? বেছে নিন এই তিন কোর্স, কাজের সুযোগ প্রচুর
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল