রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে এই সমস্যা। সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান সূত্র বের করতে বলার কথা বলা হলেও, মামলার মধ্যে দিয়ে বেড়েছে জটিলতা। একদিকে যখন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের টাকায় এই মামলার বিপুল খরচ চালানোর অভিযোগ করছেন অনেকে, ঠিক তখনই আচার্য তথা রাজ্যপালের পক্ষ থেকে এই মামলার খরচ চালানোর জন্য তার অধীনে থাকা ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজস্ব ফান্ড থেকে টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: কাটল জট, শান্তিনিকেতনে হচ্ছে পৌষ মেলা! চলবে পাঁচ দিন
গত ৩০ নভেম্বরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে রাজভবনে ৯ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা পাঠানো হয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর ,এই টাকা আদৌ একমাত্র কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো টাকা একসঙ্গে করে রাজভবনের পাঠাতে বলা হয়েছিল। সেই বাবদই এই টাকা পাঠানো হয়েছে।
রাজ্যের শাসক দলের ছাত্র সংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ প্রশ্ন তুলেছে, একদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যখন পর্যাপ্ত অর্থের অভাবে কার্যত ধুঁকছে, তখন এই বিপুল টাকা, যা আদতে পড়ুয়াদের টাকা, রাজভবনে পাঠানোর যৌক্তিকতা কোথায়? তারাই বিষয়টিকে সামনে রেখে মঙ্গলবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ প্রদর্শনও করে। যদিও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শ্রীমতি শান্তা দত্তের দাবি, ‘সাধারণ মানুষের যে টাকায় রাজ্য সরকার এই মামলা লড়ছে তাতে তো তাদের স্বার্থটুকুও জড়িয়ে নেই। কিন্তু পড়ুয়াদের স্বার্থে আচার্যের মামলা লড়ার জন্য এই টাকা দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পক্ষ থেকে।’ এতে কোনও ভুল নেই বলেই দাবি করেন তিনি।
তবে এই বিতর্কে সুর চড়িয়েছে অন্যান্য বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলিও। এসএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই পরিস্থিতি তৈরি করার ক্ষেত্রে রাজ্য- রাজ্যপাল উভয়েরই দায়িত্ব রয়েছে। পড়ুয়াদের টাকা শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য ব্যবহার হওয়ার জায়গায় মামলা লড়ার কাজে ব্যবহার হচ্ছে। দু পক্ষের লড়াইয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা।’