মঙ্গলবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে এই মামলাটির শুনানি শুরু হয় (Calcutta High Court)। আদালত দেখতে পায় যে তদন্তের জন্য ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে তৈরি বিচারবিভাগীয় কমিটি কাজ শুরু দু'মাস বাদেও আলাদা করে কোনও রিপোর্ট দেয়নি। কমিটির তরফে কেউ আদালতে উপস্থিতও হয়নি। কমিটির সব মিটিংয়ের মিনিটস মুখ বন্ধ খামে আদালতে জমা করার কথা ছিল, তাও করা হযনি। এই পরিপ্রেক্ষিতে ডিভিশন বেঞ্চ কমিটির মেয়াদ আরও চার মাস বাড়িয়েছে। তবে আদালত জানতে পেরেছে, একক বে়ঞ্চের নির্দেশের উপর কোনও স্থগিতাদেশ নেই। আদালতের বক্তব্য ডিভিশন বেঞ্চ আলাদা করে একক বেঞ্চের নির্দেশের উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। তাই আদালত মনে করছেন হাইকোর্টকে অশ্রদ্ধা করেছে বিচারবিভাগীয় অনুসন্ধান কমিটি।
advertisement
আরও পডুন: কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে বাড়িতে ফোন, এলগিন রোডের গেস্ট হাউসে মিলল স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দেহ
সেই কারণেই আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, বিচারবিভাগীয় অনুসন্ধান কমিটি মঙ্গলবার ভেঙে দিচ্ছে আদালত। এ দিন থেকে কমিটি আর কোনও কাজ করতে পারবে না। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আবারও তদন্তের ভার দিয়েছেন সিবিআই-এর উপর। গ্রুপ ডি নিয়োগের রহস্যভেদ করতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাতেই ভরসা রাখল আদালত। আদালতের তরফে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে জানানো হয়েছে, বিচারবিভাগীয় কমিটির প্রধানের বাড়িতে আজ রাত নটার মধ্যে ফোন করে, এতদিনের তদন্তের যাবতীয় নথি সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করতে হবে সিবিআইকে। যদি বাড়িতে তা না থাকে, তাহলে কাল সকাল ৮-৯টার মধ্যে নির্দিষ্ট টিকানা থেকে সেই নথি সংগ্রহ করতে হবে। তর পর বুধবার বেলা ১২টায় আদালতে উপস্থিত হয়ে জানিয়ে দিয়ে হবে যে সিবিআই মামলাটি গ্রহণ করল।
আরও পডুন: তৃণমূলে চলছে উচ্ছ্বাস, কিন্তু ফের দুশ্চিন্তায় পড়লেন অনুব্রত মণ্ডল! কারণ কী জানেন?
পাশাপাশি, কলকাতার বিচারবিভাগীয় তদন্তকারীদের অফিসও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সিআরপিএফ আধিকারিকদে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সিবিআই ওই অফিসে পৌঁছানো না পর্যন্ত কেউ অফিস ছাড়তে পারবেন না। আজ দুপুর ১টা থেকে ওই অফিসে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না নতুন করে কারওর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা অফিসে। সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে অফিস ঘিরে রাখবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। যদিও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পাল্টা এই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়, সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি। এর পর ফের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করবে রাজ্য।