মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে নিয়োগের অভিযোগ পায় আদালত।
এ বিষয়ে SSC রিপোর্ট দিয়ে জানায়, চাকরির সুপারিশ তাদের নয়।
নারাজোল এএলখান বিদ্যালয়ে 'ভুয়ো' চাকরির অভিযোগ ওঠে।
সমস্ত নথি বিচারবিভাগীয় অনুসন্ধান কমিটির কাছে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এসএসসি-কে। ভুয়ো চাকরিপ্রাপককে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দিয়েছিল হাইকোর্ট। ভুয়ো নিয়োগ সুপারিশ পত্রের উৎস জানাতেও নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
advertisement
আরও পড়ুন: ভিতরে ভর্তি যাত্রী, ধর্মতলার মোড়ে এসেই উল্টে গেল বাস! হাড়হিম ভিডিও প্রকাশ্যে
মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে এসএসসি গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করা হয়েছে। এই নিয়ে মামলার প্রেক্ষিতে এসএসসিকে তলব করা হয়েছিল। অভিযোগ ওঠে, এসএসসি-র সুপারিশের ভিত্তিতেই মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু, এসএসসি হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিল, নিয়োগের ক্ষেত্রে তারা কোনওরকম সুপারিশ করেনি। স্বভাবতই আদালত প্রশ্ন তোলে, এসএসসি সুপারিশ না করে থাকলে, কার সুপারিশে এই ভুয়ো নিয়োগ করা হয়েছিল?
সুপারিশ কে করেছেন, তা জানতে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমও গঠন করে দেয় আদালত। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বে মোট চার সদস্যের টিম গড়া হয়েছে। সমস্ত নথি বিচারবিভাগীয় অনুসন্ধান কমিটির কাছে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এসএসসি-কে।
প্রসঙ্গত, এর আগে এই এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল এসএসসি। তাদের আর্জি ছিল, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দিয়ে তদন্ত করার প্রয়োজন নেই, দরকারে অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত হোক। স্কুল সার্ভিস কমিশনেই সেই আর্জিতে সাড়া দিয়েছিল আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ। সিবিআই অনুসন্ধান সংক্রান্ত নির্দেশ খারিজ করা হয়েছিল। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল গড়ে দেয় বেঞ্চ। এবার গ্রুপ ডি-র ভুয়ো নিয়োগই বাতিল করে দিল আদালত।