একইসঙ্গে প্রশিক্ষকদের 'ফাঁকিবাজি' রুখতেও বায়োমেট্রিক হাজিরার পথে হাঁটতে চলেছে কারিগরি শিক্ষা দফতর। বৃত্তিমূলক শিক্ষার পড়ুয়াদের জন্য চালু হচ্ছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। থাকবে ফেসিয়াল রেকগনিশন বেসড অ্যাটেনডেন্স সিস্টেমও। উপস্থিতির হার ষাট শতাংশ না থাকলে কোর্স শেষে শংসাপত্র মিলবে না। জানালেন কারিগরি শিক্ষা মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর। তাঁর কথায়, 'শুধুমাত্র হাজিরাই নয়, গোটা পদ্ধতিটাকেই ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ওয়েবেলকে চিঠি পাঠানো হয়েছে'।
advertisement
আরও পড়ুন- 'C' দিয়ে নামের শুরু? কী বলছে এমন মানুষদের নিয়ে জ্যোতিষশাস্ত্র?
সূত্রের খবর, পড়ুয়াদের আঙুলের ছাপ এবং মুখের ছবি নেওয়া হবে। এই ব্যবস্থা চালু হলে, যাঁরা ট্রেনিং নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করছেন। অথচ প্রশিক্ষণ না নিয়েই নির্দিষ্ট সময়ে শংসাপত্র পেয়ে যাচ্ছেন তাঁদের ট্রেনিং নেওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা দূর হবে। রাজ্যের ১ হাজার ২৬৩টি স্কুলে ভোকেশনাল ট্রেনিং হয়। প্রতি বছর ভর্তি হন প্রায় এক লক্ষেরও বেশি পড়ুয়া। এই পড়ুয়া পিছু ৭৭ হাজার ৭৮ টাকা বরাদ্দ করে রাজ্য। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বিনামূল্যে দেওয়া হয় প্রশিক্ষণ। ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের জন্য বছরে প্রায় ১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও অনেক ছাত্র-ছাত্রীরা রেজিস্ট্রেশন করলেও তাঁরা নিয়মিত প্রশিক্ষণ না নেওয়ায় সরকারের উদ্দেশ্য সফল হচ্ছে না।
আরও পড়ুন- সঙ্গীত দুনিয়ায় ফের নক্ষত্র পতন, প্রয়াত গজলশিল্পী ভূপিন্দর সিং!
প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সরকারের যেখানে লক্ষ্য কর্মসংস্থানের পথ খুঁজে দেওয়া, সেখানে অনেক ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রেই সরকারি টাকা কার্যত জলে যাচ্ছে। তাই একদিকে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু করে ছাত্র-ছাত্রীদের হাজিরা যেমন নিশ্চিত করা পাশাপাশি অনেক ক্ষেত্রেই যারা প্রশিক্ষক রয়েছেন তাঁরাও নিয়মিত ক্লাস না নেওয়ার অভিযোগ সামনে আসায় বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু করার ভাবনা। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই নয়া নিয়ম চালু হতে চলেছে বলে কারিগরি শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর। আপাতত পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর এবং পুরুলিয়ার ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। ধাপে ধাপে রাজ্যের সমস্ত ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারই ডিজিটালাইজড করার ভাবনা রয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতরের বলে এক আধিকারিক জানিয়েছেন।