গত ডিসেম্বর মাসে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ টেট নেয়। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে তার ফলাফল প্রকাশ করে। কিন্তু ফলাফলকে আরো স্বচ্ছ করে তোলার জন্য উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সামনে রিভিউ ও স্ক্রুটিনের সুযোগ করে দেয় পর্ষদ। সেই মোতাবেক কয়েক হাজার উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা আবেদন করেন এই রিভিউ ও স্ক্রুটিনির জন্য। সেই আবেদনকারীদের মধ্যে থেকেই সংখ্যায় কম হলেও কয়েকজন পরীক্ষার্থীর নম্বর সংশোধন হয়েছে বলেই পর্ষদ সূত্রে খবর। যদিও কতজন পরীক্ষার্থীর নম্বর সংশোধন হয়েছে সেই বিষয়ে অবশ্য পর্ষদ নির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি। কিন্তু আবেদনকারী পরীক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার রাত থেকেই পর্ষদের ওয়েবসাইট মারফত তাদের নম্বর সংশোধন হয়েছে নাকি তা জানার সুযোগ পাচ্ছেন।
advertisement
আরও পড়ুন - Health Tips: রমরমিয়ে বিকোচ্ছে হলুদ তরমুজ, রোগ ধারেকাছে ঘেঁষতে দেবে না এই ফল, আপনি খেলেন
আরও পড়ুন- জলপাইগুড়িতে ওটা কীসের গন্ধ? পরপর অসুস্থ ৯ জন! যা ঘটল, শুনলে ভয়ে ঘুম উড়ে যাবে
এর পাশাপাশি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করেছে বৃহস্পতিবার রাতেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত যারা প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে পারেননি তাদের নিয়োগের প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। এর দরুন কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী নিয়োগের প্রক্রিয়া থেকে বাদ যাচ্ছে বলেই পর্ষদের আধিকারিকদের দাবি। পর্ষদ নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক যারা ইতিমধ্যেই ইন্টারভিউ দিয়েছেন প্রশিক্ষণ সম্পন্ন না হলেও তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যাদের ইন্টারভিউ এখনো বাকি রয়েছে তাদেরও নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ার জন্য চলছে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া। চলতি সপ্তাহ থেকেই দশম পর্যায়ের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মে মাসের শেষ সপ্তাহে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ গোটা ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ করবে। সে ক্ষেত্রে জুন মাসের মাঝামাঝি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এবারের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সূত্রের খবর ফের টেট নেওয়ার ব্যাপারেও ইতিমধ্যেই পর্ষদের অন্ধরে শুরু হয়েছে আলোচনা। পয়লা বৈশাখের পর পর্ষদের কমিটিও এই বিষয় নিয়ে বৈঠক করতে পারে বলেই পর্ষদ সূত্রে খবর।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়