এই প্রথমবার সিধু কানহু বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডোম সম্প্রদায় থেকে বাংলা সাহিত্যে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করলেন পুরুলিয়ার ভূমিপুত্র বিকাশ কালিন্দী। ’বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কথা সাহিত্যে মুসলিম মানস’ ছিল তার পিএইচডির বিষয়।
আরও পড়ুন: চাকরির বাজারে সুখবর! মাধ্যমিক পাশেই সমবায় সমিতিতে কাজের সুযোগ, বিশদে জেনে আবেদন করুন
advertisement
বরাবাজার তেতলো গ্রামের বাসিন্দা তিনি। বাবা পেশায় দিনমজুর ও অনুষ্ঠানে বাজ বাজনার কাজ করেন। সেই পরিবারে ছেলে হয়ে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন ছিল একপ্রকার বিলাসিতা। কিন্তু তাতে হার মেনে নেননি তিনি। জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে চরম সংগ্রাম করে নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে গিয়েছেন। পুরুলিয়ার সিধু কানহু বিরশা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথমে এমএ পাস করেন বিকাশ তারপর এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই তার পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন। তার গ্রামে তিনিই প্রথম এতখানি উচ্চশিক্ষা লাভ করেছেন।
এ বিষয়ে বিকাশ কালিন্দী বলেন, বিভিন্ন প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে তিনি এই জায়গায় পৌঁছেছেন। তার গ্রাম থেকে তিনি প্রথম পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করলেন। এর জন্য সরকারি স্কলারশিপ পেয়েছেন তিনি। শিক্ষক-শিক্ষিকা ও তাঁর পরিবারের যথেষ্ট সহযোগিতা এবং ঈশ্বরের আশীর্বাদে তার এই প্রাপ্তি।
আরও পড়ুন: শীতের দিনে আক্কেল দাঁতের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন? রইল ডাক্তারের সহজ পরামর্শ, আরাম পাবেন নিমেষে!
এছাড়াও তিনি আরও বলেন, আগামী দিনে তিনি অধ্যাপক হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। পাশাপাশি, সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর ছেলে-মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে চান তিনি। তবেই তাঁর এই সংগ্রাম সফল হবে। এ বিষয়ে সিধু কানহু বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্বপন কুমার মণ্ডল জানান, তাঁর তত্ত্বাবধানে বিকাশ কালিন্দী পিএইচডি করেছেন। বিকাশের মধ্যে বরাবরই কিছু করে দেখানোর মনোভাব ছিল।
বাংলা কথা সাহিত্যে যে বিষয়ের উপর বিকাশ পিএইচডি করেছে, তা খুবই স্পর্শকাতর একটি বিষয়। সেখানে সমস্ত দিক থেকে নিজের দক্ষতা ও নিষ্ঠার প্রমাণ দিয়েছে সে। তাই বিকাশকে নিয়ে তিনি গর্বিত। আগামী দিনের তাঁকে দেখে আরও অনেকে এগিয়ে আসবে এমনটাই মনে করছেন তিনি। সমাজের নিম্নবর্গ থেকে উঠে আসা বিরল প্রতিভা বিকাশ কালিন্দী। তাঁর এই সাফল্যে গর্বিত গোটা জঙ্গলমহল।





