বিধুবিনোদ চোপড়ার সিনেমা “টুয়েলভথ ফেল” এর গল্পে মনোজের লড়াইকে ছাপিয়ে যাবে বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের পার্থ করণের জীবনসংগ্রাম। প্রত্যন্ত সারেঙ্গা ব্লকের একটি গ্রাম থেকে ইউপিএসসি-র জিও সায়েন্টিস্ট পরীক্ষায় সারা দেশে সপ্তম স্থান দখল করার রাস্তাটা সহজ ছিল না। পাঁচবারের ব্যর্থতাকে উপেক্ষা করে আসে সফলতা।
advertisement
পার্থ করণের বাবা পেশায় অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক। ছেলেকে “ফেলিওর ইজ দি পিলার অব সাকসেস” এই কথাটা ভাল করে শিখিয়েছিলেন তিনি। অর্থাৎব্যর্থতা আগামী দিনের সফলতার পথ তৈরিকরে দেয়। মাড়োশোল গ্রামে নিজের পাঠ চুকিয়ে পার্থ চলে এসেছিলেন সারেঙ্গায়। সারেঙ্গা মাহাত্মাজী স্মৃতি বিদ্যাপীঠ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজে পদার্থ বিদ্যা নিয়ে স্নাতক হন। আইআইটি জ্যাম পরীক্ষা দিয়ে গুয়াহাটি আইআইটি থেকে স্নাতকোত্তর করে পিএইচডি করার জন্য পাড়ি দেন দিল্লি।
আরও পড়ুন : মা দিনমজুর, পিতৃহীন শৈশবে জঙ্গিদলে যোগ দেওয়ার চিন্তা…সেদিনের 12th Fail আজ ব্যস্ত IAS অফিসার
কিন্তু দিল্লিতে গিয়েই পাল্টে যায় পার্থর জীবনের লক্ষ্য। ইউপিএসসি ক্র্যাক করার জেদ মনে চেপে বসে। পরপর চার বছর আইএএস, আইপিএস হওয়ার চেষ্টা ব্যার্থ হন। হাল ছাড়েননি পার্থ। প্রথমবার ২০২২ সালে ইউপিএসসি জিও সায়েন্টিস্ট পরীক্ষায় ব্যর্থতা আসে। দমে না গিয়ে শেষ পর্যন্ত ইউ পি এস সি ২০২৩-এ সাফল্য ধরা দেয়।
গোড়া থেকেই বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা করেছেন পার্থ । প্রিলি, মেইন ও ইন্টারভিউ এর তিন ধাপ ডিঙিয়ে পার্থ করণ জানতে পারেন পরীক্ষায় সারা দেশে সপ্তম স্থানাধিকারী তিনিই। তিনি জানান, দেশের প্রতি দায়িত্ব পালনের সঙ্গে আগামীদিনে ইউপিএসসি যাঁদের লক্ষ্য, তাঁদের পাশে দাঁড়াতে চান তিনি।