বাঁকুড়া জেলার ওন্দার, পুনিশোলের অন্তর্গত ভোলা হিরাপুর নেতাজি সুভাষ উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃতি ছাত্রী সানন্দা গিরির বাম চোখ পাথরের। ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে বড় হয়েছে সানন্দা। প্রধান শিক্ষক তরুণ কুমার চক্রবর্তী বলেন, “মাধ্যমিকেও দারুন রেজাল্ট করেছিল সানন্দা। সাইন্স নিয়ে পড়তে পারেনি। একটা চোখ না থাকা সত্ত্বেও প্রচন্ড স্ট্রেস নিয়ে লড়াই করে পড়াশোনা করেছে। আমরা গর্বিত।”
advertisement
একটি চোখ না থাকার কারণে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকে। তবুও সেই সংগ্রামকে জয় করে দুর্দান্ত ফল করেছে মেয়েটি। ৪৮৬ নম্বর পেয়ে গোটা এলাকায় তাক লাগিয়েছে সে। মাত্র দুই নম্বরের জন্য হাত ছাড়া মেধা তালিকা। মনটা বেশ খারাপ সানন্দার সঙ্গে মন খারাপ এবং গর্বের সুর শোনা গেল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে।
মাথা ব্যথা করা, অন্ধকার জায়গায় একা না যাওয়া, একটানা অনেকক্ষণ পড়তে না পারা। এই সকল প্রতিকূলতা তো ছিলই তার সঙ্গে ছিল পড়াশোনাতে ভালো কিছু করার অদম্য জেদ। সেই জেদের বসেই হয়তো এমন দুর্দান্ত এক উপহার দিল সানন্দা গিরি নিজের বিদ্যালয়কে।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী