জানা গিয়েছে, রানিগঞ্জের বাংলা মাধ্যম স্কুল গান্ধি স্মৃতি বিদ্যালয়ের পড়াশোনা করেছেন অঞ্জলি বর্মন। উচ্চ মাধ্যমিক দেওয়ার আগে তাঁর কিছু শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয়। তখনই তিনি বাড়িতে সময় কাটাতে কাটাতে নিজেকে একজন উদ্যোগপতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর উচ্চ মাধ্যমিক দিয়ে তিনি চলে যান ব্যাঙ্গালোর। পাশাপাশি নিজের একটি টিম তৈরি করেন। টিমলিডার হয়ে বানিয়ে ফেলেন একটি অ্যাপ। যা দুজনের ব্যক্তিগত কথাবার্তার জন্য একটি ভার্চুয়াল পারসোনাল রুম।
advertisement
দ্রুত এই অ্যাপটি ভারতের বাইরে অন্যান্য দেশগুলিতেও জনপ্রিয়তা লাভ করে। কম বয়সেই নিজেকে একজন উদ্যোগপতি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন অঞ্জলি দেবী। আগামী দিনে তিনি যাতে আরও উন্নতি করতে পারেন, সেজন্যই তাকে ডাক পাঠানো হয়েছে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে।
আরও পড়ুন : পোষা সারমেয় চিবিয়েছে ডান পা, শতাধিক বছরের শতছিন্ন পুতুলের দাম নিলামে উঠল প্রায় ৫৫ লক্ষ টাকা!
অঞ্জলিদেবীর এই সাফল্যে খুশি তাঁর পরিবারের লোকজন। অঞ্জলি বর্মনের মা জানিয়েছেন, মেয়ের এই সাফল্যে তাঁরা দারুণ খুশি। একইসঙ্গে তাঁরা বলছেন, মেয়ে যা করতে চেয়েছিল, তার জন্য তাকে আমরা স্বাধীনতা দিয়েছিলাম।
নিজের ইচ্ছেমতো রাস্তা বেছে নিয়ে মেয়ে সফল হতে পেরেছে। তাই অন্যান্য অভিভাবকদের কাছেও তিনি আবেদন করেছেন, অন্যান্য অভিভাবকরাও যাতে নিজেদের ছেলেমেয়েদের উপর ভরসা রাখেন। তাদের ইচ্ছামতো পড়াশোনা বা কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে দেন। তাহলে সাফল্য ঠিক একদিন আসবেই।