অঙ্ক এবং ভৌত বিজ্ঞান বিষয়ের ক্লাস নেন তিনি। তবে ২০১৫ সালে শিক্ষিকা হিসাবে অবসর নেওয়ার পর ছাড়েননি স্কুল। বিদায় সংবর্ধনার পরেরদিন থেকেই জারি রাখেন স্কুল। ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি ভালবাসা এবং পোড়ানোর আগ্রহ নিয়ে প্রতিদিন সময়ের মধ্যে অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মত নিয়মিত হাজির হন স্কুলে। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা স্বপ্না ঘোষ রায় জানান, “ছেলে-মেয়েদের প্রতি ভালবাসার টানে প্রতিদিন স্কুল আসতে ইচ্ছে করে। তাই অবসরের পরের দিন থেকেই বিনা পারিশ্রমিকে নিজ খরচে স্কুলে এসে ছেলেমেয়েদের পড়ায়, ভাল লাগে।’
advertisement
বাথরুমেই ৪ বার প্রসব! শিশুদের ‘শেষ’ করে আলমারিতে রাখা… বছরের পর বছর কী করলেন মা?
স্টেশনে দাঁড়ানো কোচি মেলকে পিষে দিল মেঙ্গালুরু মেল! দক্ষিণ ভারতে বড় ট্রেন দুর্ঘটনা
এক স্কুল ছাত্রী পূর্ণিমা ঘোষ জানান, “প্রতিদিনই নিয়মিত ক্লাসে আসেন স্বপ্না ম্যাম। বয়স হলেও ভালভাবে পড়াতে পারছেন তিনি। কঠিন অংককে সহজে বুঝিয়ে দেন। ম্যামের ক্লাস করতে ভালই লাগে।”
এই বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মতিউর রহমান জানান, “শিক্ষক সমাজের জন্য এটি একটি বিরল দৃষ্টান্ত। প্রায় ১০ বছর ধরে বিনা পারিশ্রমিক নিজের ব্যক্তিগত খরচ করে স্কুলে এসে পড়াচ্ছেন তিনি। উনার এমন চিন্তাভাবনা সত্যি অবাক করে।”
বর্তমানে অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা দেয় শিক্ষাদানে সার্থকতা। আজও বহু নামিদামি সরকারি স্কুলে বেতন পেয়েও অলসতা দেখা দেয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে। তবে মালদহের এই স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকার এমন কর্মকাণ্ড নজর কেড়েছে সকলের।
