তবে বেসরকারি স্কুলে চেহারাটা অন্য৷ সেখানে কমেছে পড়ুয়াদের সংখ্যা৷ কেন সেই পরিস্থিতি, তা যদিও স্পষ্ট নয়৷ লোকসভা একটি লিখিত প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় স্কুল শিক্ষা ও সাক্ষরতা বিভাগ ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে কেন্দ্রীয় জেলা-শিক্ষা তথ্য সমন্বয় ব্যবস্থা৷ সেই ব্যবস্থার তথ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে কেন্দ্র করে৷ সেই তথ্যে দেখা গিয়েছে ২০১৯-’২০ শিক্ষা বর্ষে দেশে পড়ুয়াদের শিক্ষা ক্ষেত্রে অংশগ্রহণের পরিমাণ ছিল ১৩.০৯ কোটি, ২০২০-’২১-এ সেটি দাঁড়িয়েছে ১৩.৪৯ কোটিতে, তার পর ২০২১-’২২-এ সংখ্যাটি অনেকটা বেড়ে হয়েছে ১৪.৩২ কোটি৷’’
advertisement
আরও পড়ুন: তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের বাড়ির কাছেই পরীক্ষাকেন্দ্র, টেট মিটতেই বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর
আরও পড়ুন: আজ সেই ১২ ডিসেম্বর, মিলবে শুভেন্দুর ভবিষ্য়দ্বাণী? বঙ্গ রাজনীতিতে জল্পনা তুঙ্গে
বেসরকারি স্কুলের অবস্থা কিন্তু আগের থেকে খারাপ হয়েছে৷ বেসরকারি স্কুলের হিসাবে ২০২১-’২২ সালে স্কুল নথিভুক্তিকরণের পরিমাণ হয়েছে ৮.৮২ কোটি, ২০২০-’২১ সালে তা ছিল ৯.৫১ কোটি আর ২০১৯-’২০ সালে তা ছিল ৯.৮২ কোটি৷ ফলে সেই হিসাবে পড়ুয়ার সংখ্যা কমতেই থেকেছে৷
ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত নিয়েও প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন মন্ত্রী৷ তিনি বলেছেন, ‘‘সারা দেশে ক্রমাগত বিপুল অবসর গ্রহণের হার, ইস্তফা দেওয়ার মতো একাধিক কারণে শিক্ষকের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে৷ নতুন স্কুলগুলিতে পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়ছে, যে কারণে বাড়ছে শিক্ষকের চাহিদাও৷ শিক্ষক নিয়োগ একটি ক্রম-পরিবর্তনময় প্রক্রিয়া৷ সেই কারণে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের তরফ থেকে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রশাসনকে বলা হচ্ছে, তাঁরা যেন নিয়মিত শিক্ষর নিয়োগের কাজ চালিয়ে যেতে থাকে৷’’