পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় পাঁচ মাস আগে উঁচু ক্লাসের একাধিক ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে ভাস্কর পালকে শামুকতলা থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন। মামলার তদন্তে যাতে কোনও রকম প্রভাব না পড়ে, সাক্ষীদের উপর চাপ সৃষ্টি না হয় এবং তদন্ত স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হয়, সেই কারণেই শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
advertisement
ওরা তাকে ছিঁড়ে খায়…’! বাংলাদেশে দীপু দাসকে হত্যার আগে শেষ মুহূর্তের ভয়াবহ ভিডিও প্রকাশ্যে!
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে সাসপেন্ড সংক্রান্ত নির্দেশিকা সংশ্লিষ্ট স্কুল, জেলা শিক্ষা দফতর এবং জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষা মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ ও তদন্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির একটি রিপোর্টের ভিত্তিতে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে তিনি ক্লাসের ভিতরে এবং ক্লাসের বাইরে ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করছিলেন। অভিযুক্ত শিক্ষক কন্যাশ্রী প্রকল্পের দায়িত্বে ছিলেন। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, কন্যাশ্রী সেলের কম্পিউটার রুমে ছাত্রীদের ডেকে নিয়ে তিনি অশালীন আচরণ করতেন।
ঘটনাটি প্রায় সাত মাস আগের। প্রথমে কয়েকজন ছাত্রী বিষয়টি দু’জন শিক্ষিকার কাছে জানালেও তা গুরুত্ব পায়নি বলে অভিযোগ। পরে পুনরায় অভিযোগ জানানো হলে এক শিক্ষিকা বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানান। এরপর প্রধান শিক্ষক অভিভাবকদের ডেকে আলোচনা করে বিষয়টি স্কুল স্তরেই মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে বিষয়টি জানতে পেরে আলিপুরদুয়ার জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি তদন্ত শুরু করে এবং তদন্ত রিপোর্ট পুলিশের কাছে পাঠায়। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি ভাস্কর মজুমদার জানান, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশ অনুযায়ী মামলা চলাকালীন অভিযুক্ত শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিষয়টি বিচারাধীন হওয়ায় এই নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
আলিপুরদুয়ার জেলা স্কুল পরিদর্শক রবীনা তামাং জানান, মামলা চলাকালীন ওই শিক্ষককে সাসপেন্ড করার নির্দেশিকা জারি করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর। সেই নির্দেশমতো ওই স্কুলকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
