২০১৮ সালে বীরভূমের নানুরের এই স্কুলে ইতিহাসের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন জীবনকৃষ্ণ সাহা৷ পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ইতিহাস পড়াতেন তিনি৷ ২০২১ সালে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থেকে ভোটে জিতে বিধায়ক হন জীবনকৃষ্ণ৷
আরও পড়ুন: 'দুর্নীতির বাকি মামলাও হয়তো আমার হাত থেকে সরে যাবে!' বিস্ফোরক বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
নিয়ম অনুযায়ী বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হলে অন্য কোনও সরকারি বেতন বা ভাতা নিতে পারেন না জীবনকৃষ্ণ৷ কিন্তু নানুরের ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার কথা সরকারি ভাবে তাদের জানানইনি জীবনকৃষ্ণ৷ যদিও তিনি যে বিধায়ক, তা কারও অজানা ছিল না৷ কিন্তু শাসক দলের নেতা এবং বিধায়ক হওয়ায় এতদিন তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস করেননি কেউ৷ এ দিকে বিধায়ক হওয়ার পর স্কুলে আসাও কমিয়ে দেন জীবনকৃষ্ণ৷ কিন্তু নিয়মিত বেতন পেয়ে যাচ্ছিলেন তিনি৷
advertisement
চলতি মাসের ১৭ এপ্রিল নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতার করে সিবিআই৷ এর পরেই তাঁর বিরুদ্ধে নড়েচড়ে বসে দেবগ্রাম হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ৷ স্কুলের প্রধান শিক্ষক কমলকৃষ্ণ ঘোষ বলেন, 'উনি আমাদের কোনওদিনই জানাননি যে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন৷ আগে হয়তো মাসে একদিন আসতেন৷ শেষ ছ মাসে স্কুলে আসেননি৷ তাই স্কুল কমিটিতে সিদ্ধান্ত পাস করে আমরা ওনার বেতন বন্ধের সুপারিশ উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি৷ যেদিন উনি গ্রেফতার হয়েছেন, সেদিন থেকেই ওনার বেতন বন্ধ হবে৷