পুজো শেষে বিসর্জনের দিন কুলিদের কাঁধে চাপিয়ে বাজার, বর্ধমান মহারাজার শিবমন্দির ঘুরিয়ে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হত। পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের জেরে একটানা বন্ধের সময় এই হলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। সেবার কোনওমতে বাঁশ, কাপড় দিয়ে মণ্ডপ তৈরি হয়েছিল। তারপর করোনার দু'বছর ছোট প্রতিমা আনিয়ে পুজো করেছিলেন উদ্যোক্তারা।
আরও পড়ুনঃ পাহাড়ে আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে অবৈধ নির্মাণ! কড়া দার্জিলিং পুরসভা
advertisement
তবে এবার আড়ম্বরের সাথে দুর্গা পুজো পালিত হচ্ছে বলে জানালেন কমিটির সদস্যরা। বরাবর রাজরাজেশ্বরী হলের পুজোতে মালদহ থেকে ঢাকি আসে। যদিও গত বছর স্থানীয় একজনকে দিয়ে ঢাকির কাজ চালানো হয়েছিল। তবে এ বছর মালদহ থেকেই ঢাকি এসেছে বলে জানালেন উদ্যোক্তারা করোনাকাল কাটিয়ে উঠে এখন পাহাড় স্বাভাবিক ছন্দে রয়েছে। তাই বড় মূর্তির বায়না দিয়ে পুজো করতেই কোমর বাঁধছেন উদ্যোক্তারা। বরাবরই দর্শনার্থীদের মণ্ডপে বসিয়ে পুজোর ভোগ খাওয়ানো হয়।
আরও পড়ুনঃ দার্জিলিংয়ের চিড়িয়াখানায় রেড পান্ডার শাবকের জন্ম
অষ্টমী পর্যন্ত সেই সংখ্যাটা গড়ে চারশো থেকে পাঁচশো হয়েছে বলে জানান উদ্যোক্তারা। নবমীতে আরও বেশি হবে বলে তারা আশাবাদী। পুজো কমিটির সম্পাদক চন্দন কর্মকার বলেন, ‘‘সব সম্প্রদায়ের মানুষ এই পুজোয় যোগ দেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাঁদা তোলা হয়।’’ প্রতিমা বিসর্জনের পরে রাজরাজেশ্বরী হলে বিজয়া সম্মেলনের অনুষ্ঠানও হয়। উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে এসে সঙ্গীত পরিবেশন করে গেছেন দিলীপকুমার রায়, পন্ডিত জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের মত বিশিষ্টজনেরা। এ বছরও বসবে নাচ, গান আর কবিতার আসর।
Anirban Roy