আরও পড়ুন: বাগদি পাড়ার বাসিন্দারা ছাড়া এই বনেদি বাড়ির প্রতিমা নিরঞ্জন হয় না
সংসার সামাল দিয়ে সন্তানদের লেখাপড়া শেখানো, শখ-আল্লাদ মেটানো সবই করে চলেছেন বালুরঘাটের শ্যামলী দাস। আজকের যা বাজারদর তাতে স্বামীর একার উপার্জনে কিছুই সম্ভব হয় না। তাই বাধ্য হয়ে শ্যামলী দাসের মতো দশভুজারা কোলের সন্তানকে বাড়িতে রেখেই অর্থনৈতিক যুদ্ধে সামিল হন।
advertisement
বালুরঘাট শহর লাগোয়া ডাঙা পঞ্চায়েতের নামাডাঙা এলাকায় স্বামী সহ দুই সন্তানকে নিয়ে বসবাস শ্যামলী দাসের। প্রথম অবস্থায় স্বামীর রোজগারে সংসার দিব্যি চলে গেলেও সন্তানরা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের খাওয়া-দাওয়া, ভালো পোশাক, পড়াশোনা সহ আনুষাঙ্গিক খরচের যোগান দিতে শেষ পর্যন্ত শ্যামলীকে রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজে যোগ দিতে হয়। সারাদিনের হাড়ভাঙা খাটুনির মধ্যে দিয়ে সংসারে কিছু বাড়তি আয় তুলে আনার চেষ্টা করেন তিনি। তপ্ত রোদে ইট ভাটায় অদক্ষ শ্রমিকের কাজ করে স্বামীর পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি সন্তানদের মুখে হাসি ফোটাতে ভোর থেকেই যুদ্ধ শুরু হয়। বছরে মোট ছয় মাস কাজ জোটে ইট ভাটায়। এই বিষয়ে শ্যামলী দাস বলেন, প্রতিদিনই জিনিসপত্রের দাম ক্রমশ বেড়েই চলেছে। তাই বাধ্য হয়ে এই পথ অবলম্বন করতে হয়েছে।
শুধুমাত্র একা শ্যামলী দাস নয়, এরকম হাজারো শ্যামলী আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তাঁদের খোঁজ আমরা কজন রাখি? এই দশভুজারা কিন্তু অন্তরালে প্রতিনিয়ত লড়ে চলেছেন।
সুস্মিতা গোস্বামী