বর্ষাকাল পেরিয়ে যাওয়ার পরেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তের স্থানীয় কৃষকরা উপরি অর্থ উপার্জন এর জন্য শোলা চাষ করতেন। বর্তমানে এই শোলার চাষ করতে গেলে জলাশয় গুলিতে মাছ চাষ সহ একাধিক চাষের সমস্যা সৃষ্টি করে। এর ফলে কৃষকরা এই চাষ কমিয়ে দিয়েছে৷ ফলে বিপাকে পড়ছে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত শোলা শিল্পীরা।
আরও দেখুন – Cyclone Mocha Update : গতি বদলাচ্ছে Mocha! পশ্চিমবঙ্গের কী হাল, জানাল আবহাওয়া অফিস
advertisement
ভিন রাজ্য থেকে শোলা নিয়ে আসার ফলে খরচ পড়ছে দ্বিগুনের থেকেও বেশি। উল্লেখ্য প্রতিমার ডাকের সাজ কিংবা মাঙ্গলিক কোনও অনুষ্ঠান সবকিছুতেই জুড়ে রয়েছে শোলা শিল্পীদের হাতের জাদু। এই সমস্ত শোলা শিল্পীদের হাতের কারুকার্যে প্রতিমার অলঙ্কার থেকে শুরু করে প্রতিমাকে সাজিয়ে তোলা হত।
আরও দেখুন – চলছিল রোড শো, Ambulance কে পথ ছাড়লেন Abhishek Banerjee, দেখুন, রইল ভিডিও
কিন্তু অত্যাধুনিক যুগে পুজোগুলির ক্ষেত্রে থিমের প্রাধান্য বেড়ে যাওয়ায় শিল্পীদের কদর অনেকটাই কমে গেছে। থিমের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার ফলে প্লাস্টিক জাতীয় জিনিসের প্রাধান্য বেড়েছে মন্ডপ কিম্বা ঠাকুরের ক্ষেত্রে। পাশাপাশি মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে ক্ষেত্রে বিয়ে বাড়ি কিংবা অন্নপ্রাশন সবকিছুতেই শোলা শিল্পীদের কারুকার্য করা জিনিস এর প্রাধান্য কমেছে। ফলে সুখের দিন গিয়েছে শোলা শিল্পীদের।
শোলা শিল্পীদের পক্ষ থেকে জানা যায় বেশ কিছুদিন আগেও জেলা বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খুব সহজেই শোলা পাওয়া যেত। বর্তমানে যে সমস্ত শোলা পাওয়া যায় তার গুণগতমান ভাল না হওয়ার কারণে ভিন রাজ্য বিশেষ করে বিহার থেকে শোলা আমদানি করতে হচ্ছে শিল্পীদের। বাইরে থেকে এই শোলা নিয়ে আসার পরে খরচের পরিমাণও বেড়ে যাচ্ছে প্রায় দ্বিগুনেরও বেশি হবার ফলে। শিল্পীদের লাভের পরিমাণ ও কমে যাচ্ছে।তবুও এত প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে জেলার মালাকার সম্প্রদায়ের মানুষ পূর্ব পুরুষদের এই ব্যবসা আঁকড়ে ধরে আছে।
Susmita Goswami