প্রসঙ্গত, দীপাবলিতে মাটির প্রদীপের চাহিদা থাকে। কিন্তু ক্রমেই সেই চাহিদা কমে যাচ্ছে। তার পরিবর্তে আলোকসজ্জার কদর বাড়ছে। এই অবস্থাতে শহরের বাজারগুলিতে প্রদীপ এনেও ক্ষতির মুখে পড়েছিল প্রদীপ বিক্রেতারা। তাই তাদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রদীপ বিক্রিতে উৎসাহিত করে সংস্থার সদস্যরা। ১০০ প্রদীপ কিনলেই সাধারণ মানুষকে তেল ও সলতে ফ্রি দেওয়া হয়। পাশাপাশি, বালুরঘাট পুরসভারও এই কাজে এগিয়ে আসে। পুরসভার তরফেও প্রদীপ কেনা হয়। যাতে তাড়াতাড়ি বিক্রি হয়ে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন:দেড় কেজি সোনায় মুড়ল বালুরঘাটের বুড়া মা কালী, ভক্তদের ঢল মন্দিরে
প্রায় ছয় হাজার প্রদীপেই শহরের প্রাণকেন্দ্র সাজিয়ে তোলা হয়। ওই কাজে এগিয়ে আসে শহরের বিশিষ্টজনেরাও। এবিষয়ে বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন,”দিন দিন মাটির প্রদীপের কদর কমছে। এই অবস্থায় সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা পুরসভার পক্ষ থেকে এই কাজে এগিয়ে আসি। যাতে মাটির প্রদীপ বিক্রি হয়। আজ এই ধরনের একটি বিশেষ কাজ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।” জানা গেছে, প্রতিবছর মাটির প্রদীপ বিক্রেতাদের পাশে দাঁড়াতে নানা রকম উদ্যোগ নেওয়া হয় তাদের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন:কোলেস্টেরল-উচ্চ রক্তচাপ-সুগারের মতো হাজার রোগ সারে, শুধু এই পদ্ধতিতে উচ্ছে খেলেই কেল্লাফতে
এবারও যাতে মাটির প্রদীপ বিক্রি হয়, তাই বাজারে যারা প্রদীপ কিনেছে, তাদের তেল ও সলতে ফ্রি দেওয়া হয়। পাশাপাশি, পুরসভার সহায়তায় ছয় হাজার প্রদীপ মাঠে জ্বালানো হয়। এবিষয়ে মাটির প্রদীপ বিক্রেতাদের পক্ষ থেকে জানা যায়, আগের মত আর প্রদীপ বিক্রি হয় না। প্রদীপ বানিয়েও ফেলে রাখতে হয়। এই উদ্যোগের ফলে এই দীপাবলিতে প্রদীপ আর অবশিষ্ট নেই। ফলস্বরূপ, সব প্রদীপই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। এতে তাদের দীপাবলির দিন গুলিও ভাল কাটবে। পুরসভার এমন উদ্যোগকে কুর্নিশ বালুরঘাটবাসীর। প্রতিবছর এমন উদ্যোগ নিলে মৃৎশিল্পটাকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে।
সুস্মিতা গোস্বামী