খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের একাধিক ইঞ্জিন। পাশাপাশি এসে হাজির হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তবে কীভাবে আগুন লাগল তা এখনও পরিষ্কার নয়। এদিকে ওই সময় বেশ কিছু কর্মী পিএইচই অফিসে ছিলেন। তাঁরা সকলেই নিরাপদে বেরিয়ে আসেন। তবে অনেকে তাড়াহুড়ো করে বেরোতে গিয়ে আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে এসেছেন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরাও। বিপদ এড়াতে গোটা এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বেহালার দুর্ঘটনা খুলে দিয়েছে চোখ
জানা গিয়েছে, পিএইচই অফিসের পুরনো বিল্ডিংয়ের পরীক্ষাগারে ক্লোরিন, ব্লিচিং সহ একাধিক রাসায়নিক দ্রব্য ছিল। পাশাপাশি প্লাস্টিক জাতীয় দাহ্য বস্তুও রাখা ছিল। ফলে দ্রুত আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রবল শব্দে রাসায়নিক দ্রব্যের ড্রামগুলো হাঁটতে শুরু করে। এর ফলে বাতাসে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক মিশে যাওয়া আশেপাশের এলাকার মানুষের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। বেগতিক দেখে এলাকার সমস্ত দোকান বন্ধ করে সাধারণ মানুষকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায় বালুরঘাট থানার পুলিশ। এরপরই পুলিশের পক্ষ থেকে মাস্ক পড়ে বাড়ির বাইরে বের হওয়ার জন্য মাইকিং শুরু হয়। দমকলের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, মোট চারটি ইঞ্জিন প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুনকে নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
সুস্মিতা গোস্বামী