প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের মে মাসে বালুরঘাট পুরসভার তরফ থেকে শহরের খিদিরপুর শ্মশানে তৈরি করা হয় বৈদ্যুতিক চুল্লি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের আর্থিক বরাদ্দে এই চুল্লি তৈরি করা হয়। খরচ হয়েছিল ১ কোটি ৮১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫৭২ টাকা।
আরও পড়ুন: বংশের ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখতে আজও প্রতিমা গড়েন পদ্মাবতী
advertisement
বৈদ্যুতিক চুল্লির চিমনি খারাপ হয়ে যাওয়ায় ধোঁয়া উপরে না গিয়ে নীচের দিকে নেমে আসছে। তা এরপর গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। এই কারণেই চুল্লি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন। দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে বালুরঘাট পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, সৎকারের জায়গায় শেড দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, খিদিরপুর শ্মশানে দুটি বৈদ্যুতিক চুল্লি আছে। যার একটি দীর্ঘদিন ধরে বিকল হয়ে ছিল। ফলে একটি চুল্লিতেই মৃতদেহ সৎকারের কাজ চলছিল বহুদিন ধরে। যদিও কিছুদিন আগে সেটি ঠিক করা হয়েছে। তবে চালু হয়নি। এরই মধ্যে সক্রিয় বৈদ্যুতিক চুল্লির চিমনি খারাপ হয়ে যাওয়ায় গোটা শ্মশানেরই সৎকার ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে।
চিমনি দিয়ে ধোঁয়া না বেরিয়ে তা শ্মশান ও গোটা এলাকায় ছেয়ে যাচ্ছে। যার ফলে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিষয়টি জানতে পেরেই পুরসভার পক্ষ থেকে বৈদ্যুতিক চুল্লি বন্ধ রাখা হয়। এমনকি গোটা এলাকায় বৈদ্যুতিক চুল্লি বন্ধের বিষয়টি মাইক সহযোগে প্রচার করেছে পুরসভা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ মাঝেমধ্যেই বিকল হয়ে পড়ে খিদিরপুর শ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লি। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এমনটা হচ্ছে বলে তাঁদের দাবি।
সুস্মিতা গোস্বামী