আরও পড়ুন: অন্ধকার থেকে মুক্তির আশা দেখছে ফালাকাটাবাসী
বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপারের অফিস যাওয়ার আগেই আছে জৈব আবর্জনা সংরক্ষণ করার ঘর। হাসপাতালে প্রতিদিনের যাবতীয় নোংরা নিয়ে এসে ওখানে সংরক্ষণ করা হয়। শুধুমাত্র জেলা হাসপাতাল নয়, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নোংরা আবর্জনাও এই ঘরেই সংরক্ষণ করা হয়। প্লাস্টিকে করে সব নোংরা রাখা হয়৷ নির্দিষ্ট সময়ে গাড়ি করে সেই নোংরা নিয়ে চলে যায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার কর্মীরা।
advertisement
ওই জৈব আবর্জনা সংরক্ষণ ঘরের পাশেই আছে পুলিশ মর্গ। এই রাস্তাতেই আছে হাসপাতাল সুপারের অফিস থেকে অন্যান্য চিকিৎসা বিভাগ। রোজ বিভিন্ন পরিষেবা নিতে এই চত্বরে আসেন শতাধিক মানুষ।তাঁরা নাকে রুমাল চেপে কোনরকমে যাতায়াত করেন। হাসপাতালের নোংরা নিয়মিত পরিষ্কার না হওয়ার ফলেই দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ হাসপাতালে আসা সাধারণ মানুষদের।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিন এই নোংরা আবর্জনা হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা তা করছে না। কখনও সাত দিন আবার কখনও দশদিন পর নোংরা জৈব আবর্জনা সংরক্ষণ ঘর থেকে সংগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। নিয়মিত নোংরা আবর্জনা পরিস্কার না করার ফলেই দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে৷ এতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে বালুরঘাট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যাতে নোংরা নিয়মিত আবর্জনা পরিষ্কার করা হয় তার জন্য বলা হবে বলে হাসপাতাল সুপার জানান।
সুস্মিতা গোস্বামী