মঙ্গলবার সকালে বালুরঘাটের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের এমনই একটি খোলা মুখ নর্দমায় একটি ষাঁড় পড়ে যায়। পরে দমকলকর্মীরা এসে ষাঁড়টিকে উদ্ধার করেন। এর আগেও একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় কাউন্সিলরের এর আক্ষেপ, পুরসভায় জানিয়েও কাজ হচ্ছে না।
বর্ষা শুরুর আগে শহরের নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক রাখতে প্রতিটি ওয়ার্ডে সাফাই কর্মীদের দিয়ে নর্দমা পরিষ্কার করায় পুর কর্তৃপক্ষ। এবারেও তাই হয়েছে। কিন্তু বালুরঘাটবাসীর অভিযোগ, নর্দমা যথাযথভাবে পরিষ্কার করলেও তার ঢাকনা ঠিক করে লাগিয়ে দেননি সাফাই কর্মীরা। বেশ কিছু জায়গায় নর্দমার ঢাকনাই নেই।
advertisement
মঙ্গলবার সকালে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের যুব সংঘ এলাকায় নর্দমায় ষাঁড় পড়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এর আগেও হাইড্রেনের ঢাকনা না থাকায় একইভাবে ষাঁড় পড়ে গিয়েছিল। কখনও কখনও গাড়ির চাকা এই নর্দমায় ঢুকে যাচ্ছে। ফলে আহত হচ্ছেন চালকরা। ১৯, ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের নর্দমাগুলোর বেশিরভাগই স্ল্যাব ছাড়া উন্মুক্ত পড়ে আছে।
গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত এক বাসিন্দা শান্তনু মুখোপাধ্যায় বলেন, অনেক সময় বাচ্চারা রাস্তায় খেলাধুলো করে। অন্যমনস্কভাবে এই খোলা নর্দমায় পড়ে গেলে বড় বিপদ ঘটে যাবে। ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কুন্তল দাসের আক্ষেপ, বহু বছর ধরে অনেক নর্দমার মুখ খোলা পড়ে। স্ল্যাব বসানোর কথা বলা হয়েছে পুরসভায়। কিন্তু কোনও হেলদোল নেই। সাত-আট বছর ধরে অনেক জায়গায় হাই ড্রেনের স্ল্যাব সরিয়ে রাখা হয়েছে। পুরসভায় জানালেও কোনও পদক্ষেপ করছে না। এমনকি কিছুদিন আগেই আবার স্ল্যাব ভেঙে নর্দমা পরিষ্কারের জন্য এসেছিল। আমি ভাঙতে দিইনি। কারণ সামনে দুর্গাপুজো, প্রচুর লোকের ভিড়ের মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বালুরঘাটের পুরপ্রধান অশোক মিত্র এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, বর্ষাকালে জল জমে থাকে। যাতে রাস্তার জল নর্দমা দিয়ে বিনা বাধায় বয়ে যেতে পারে তাই সব ওয়ার্ডেই নর্দমা পরিস্কারের কাজ চলছে। সেই কারণেই স্ল্যাব সরানো হচ্ছে। কাজ শেষ হলেই সেই স্ল্যাব বসিয়ে দেওয়া হবে। যে এলাকায় কাজ বাকি আছে সেখানে স্ল্যাব বসানো হয়নি। গোটা বিষয়টির উপর তিনি নজর রাখছেন বলে জানিয়েছেন।
সুস্মিতা গোস্বামী