পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগে রায়পুরের টিকরাপাড়া এলাকার একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে বাসন্তী যাদব নামে এক তরুণীর দেহ। তিনি মহাসমুন্দ জেলার বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর প্রেমিকের নাম গোপী নিষাদ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে, লিভ-ইন করতেন ওই যুবক-যুবতী। একসঙ্গে চাকরি করতেন বলে ওই ভাড়া বাড়িতে একসঙ্গেই থাকতেন তাঁরা। কিন্তু দিন দুয়েক ধরে তরুণীকে দেখা যাচ্ছিল না। গোপীকে এক বার মাত্র বেরোতে দেখা গিয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: মুহূর্তের মধ্যে বদলে যাবে আবহাওয়া, শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ের সতর্কতা কলকাতায়! রাজ্যজুড়ে বৃষ্টির খবর
এর পর ওই ঘর থেকে পচা দুর্গন্ধ বেরোতে থাকলে বাড়িওলার সন্দেহ হয় এবং তিনি পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে যে, মাটিতে পড়ে রয়েছে বাসন্তীর দেহ। আর মৃতদেহের কাছে বসে রয়েছেন ওই যুবক।
গোপীর দাবি, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বাসন্তী। দেহ থেকে ফাঁস খুললেও ভয়ের কারণে কাউকে কিছু জানাননি তিনি। পুলিশি জেরায় গোপী আরও জানান যে, তিনি টিল্ডার বাসিন্দা। তাঁরা দুজনেই রায়পুর এমএমআই হাসপাতালে চাকরি করতেন। সেখান থেকেই আলাপ এবং প্রেম। এর পরেই একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: স্কুলে রিভলবার নিয়ে দাপাচ্ছে যুবক, সঙ্গে অ্যাসিডের বোতল! আমেরিকা নয়, মালদহের ঘটনা
যে বাড়িতে তাঁরা থাকতেন, ওই বাড়ির মালিক জানান, ঘটনাটি ঘটার পর দুই দিন ধরে মেয়েটিকে দেখা যায়নি। ঘর থেকে এক বারই খাবার খেতে বেরিয়েছিলেন ওই যুবক। তখন তাঁর কাছে মেয়েটির বিষয়ে জানতে চাইলে গোপী জানান, বাসন্তীর শরীর ভাল নেই। তাই তিনি ঘরে ঘুমোচ্ছেন। কিন্তু সকালে ঘর থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে থাকলে বাড়িওয়ালা ঘর খুলে দেখেন যে, মেয়েটির দেহ পড়ে রয়েছে। তখন গোপী বাড়িওয়ালার সামনে হাতজোড় করে কেঁদে ওঠেন, এমনকী পুলিশকে এ কথা জানাতে বারণও করেন।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই প্রসঙ্গে সিএসপি রাজেশ চৌধুরী জানান, “দুই দিন আগে টিকরাপাড়া থানার ভাড়া বাড়িতে বাসন্তী যাদব নামে এক যুবতীর মৃতদেহ পাওয়া যায়। তিনি রায়পুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সাফাই কর্মী ছিলেন। গত এক বছর ধরে তিনি গোপী নিষাদের সঙ্গে লিভ-ইনে থাকতেন। ময়নাতদন্তের সংক্ষিপ্ত রিপোর্টে এটিকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করেছেন চিকিৎসকরা।”