কিন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এবং রাজ্যে লকডাউন চলার জেরে সেই প্রক্রিয়া কার্যত স্থগিত হয়ে যায়। সূত্রের খবর পর্ষদের দেওয়া সময়সীমা অনুযায়ী মাধ্যমিকের উত্তরপত্রের ১৭ শতাংশের কাছাকাছি জমা পড়ে গিয়েছে প্রধান পরীক্ষকদের কাছে। তার সঙ্গে উত্তরপত্র পিছু নম্বর অনেকটাই জমা পড়ে গিয়েছে পর্ষদে। কিন্তু এখনও অনেক উত্তরপত্র শিক্ষকদের মূল্যায়ন বাকি থাকায় সেগুলি মূল্যায়নকারী শিক্ষকদের কাছেই পড়ে রয়েছে। তাই সেই উত্তরপত্র গুলি মূল্যায়নকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করার জন্য বেশ কিছু পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই নিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বলেই স্কুল শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর। এ প্রসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানান "আমাদের তরফে অনেক বিষয় ভাবনা চিন্তার মধ্যে রয়েছে। লকডাউন উঠলেই এই বিষয় আমরা আমাদের ভাবনা চিন্তা গুলিকে কার্যকর করার দিকে এগোবো।"
advertisement
স্কুলশিক্ষা দফতরের সূত্রে খবর, লকডাউন উঠলেই মূল্যায়নকারী শিক্ষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে উত্তরপত্র সংগ্রহের কাজ শুরু করা হতে পারে। পর্ষদের দাবি এই পরিকল্পনা কার্যকর করতে গেলে রাজ্য প্রশাসনের সহযোগিতা লাগবে। যদিও ইতিমধ্যেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে মূল্যায়নকারী শিক্ষকদের দুবার করে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় বিষয় পিছু নম্বর দেওয়া শিটে নথিবদ্ধ করে রাখার কথা বলা হয়েছে। যাতে পর্ষদের কাছে নম্বরগুলি আসার পরপরই তড়িঘড়ি ফলাফল প্রকাশের প্রক্রিয়া এগোনো যায়।
যদিও মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশের সময়সীমা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। সূত্রের খবর যদিও পর্ষদের তরফের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে যাতে লকডাউন ওঠার পরপরই মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশ করা যায়।