কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের তরফে জানানো হয়েছে, “এবছর অতিমারীর প্রভাবে সব ক্লাস শুরু হতে অনেক দেরি হয়েছে। কিন্তু চতুর্থ বর্ষের ছাত্রদের ইন্টার্নশিপ শুরু হওয়ার আগে প্রশিক্ষণ শেষ হওয়া জরুরি, তাই আমরা গত ২ ডিসেম্বর থেকে ক্লাস শুরু করে দিয়েছি।”
গত ২৫ নভেম্বর, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সম্পাদক, মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ডিসেম্বর ১ অথবা তার আগেই ক্লাস শুরু করে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবদের কাছে। নভেম্বর ২৭-এ, রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর একটি সার্কুলার জারি করে, যেখানে মেডিক্যাল কলেজগুলিকে বলা হয় কোভিড-সুরক্ষার সমস্ত নিয়ম মেনে ক্লাস শুরু করা জরুরি। এতে ছাত্রদের মধ্যে সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব হবে।
advertisement
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ফাইনাল ইয়ারের এক ছাত্র বলেছেন, “অতিমারী না হলে আগামী মার্চ মাস থেকেই ইন্টার্নশিপ শুরু হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। ওয়ার্ড এবং ওপিডি-তে ক্লিনিক্যাল পোস্টিং না হলে ইন্টার্নশিপ করা সম্ভব নয়। যদিও অনেক দেরি হল, কিন্তু পুনরায় হাসপাতালে ফিরতে পেরে বেশ ভাল লাগছে।”
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের তরফ থেকে, হস্টেলে ফেরা সকল ছাত্র-ছাত্রীদের কোভিড টেস্ট করানো হয়েছে। তবে অন্যান্য কলেজে আবার কিছু কিছু ছাত্রের কোভিড টেস্ট করানো হচ্ছে কোনও উপসর্গ আছে কি না এবং তারা কোনও কোভিড পজিটিভ ব্যাক্তির সংসর্গে ছিল কি না, তার উপর নির্ভর করে। সামাজিক দূরত্ববিধির কথা মাথায় রেখে, প্রত্যেক বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের বেশ কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে নেওয়া হবে তাদের ক্লাস।
আইপিজিএমইআর-এর ভাইস প্রিন্সিপল এবং মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট রঘুনাথ মিশ্র বলেছেন, “কোভিড সুরক্ষার জন্য যা যা করনীয়, তা আমরা মেনে চলতে পারতাম না যদি সকল ছাত্র-ছাত্রীদের এক সঙ্গে ক্লাস নেওয়া হত। সে কারণে আমরা একসঙ্গে ৩০ জনের বেশি ছাত্রকে ক্লাস করাচ্ছি না।” এনআরএস মেডিক্যাল কলেজেও ক্যাম্পাসে ক্লাস নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। পরিকল্পনামাফিক অন্যান্য বর্ষেরও ক্লাস আরম্ভ হবে আগামী সপ্তাহেই।
Antara Dey