কার্লসেন সেই জায়গা দখল করে। তিনি নিজে দাবাড়ু হয়েও ভালোবাসেন ফুটবল খেলা। বেশিরভাগ জীবনের অংশটা কাটিয়েছেন মাদ্রিদে। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ জিততে ফের একবার দাবার বোর্ডের সামনে বসতে চলেছেন বিশ্বনাথন আনন্দ। পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আনন্দের সঙ্গে এই মহৎ উদ্যোগে সামিল হয়েছেন আরও চার জন জাতীয় স্তরের দাবাড়ু।
চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার অন লাইনে এই ম্যাচ আয়োজিত হতে চলেছে।
advertisement
কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ইতিমধ্যেই ১১ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন আনন্দ। তাঁর এই উদ্যোগে সর্ব ভারতীয় দাবা সংস্থা, রেড ক্রস ইন্ডিয়া ও চেকমেট কোভিড সংস্থা অংশ নিচ্ছে। এই বিষয়ে আনন্দ বলেন, “এই মুহূর্তে গোটা দেশ এই ভাইরাসের আতঙ্কে রয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হওয়া পরিবারের সদস্যদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠার জোগাড়। কিন্তু যাদের পরিবার এখনও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি তাঁরাও কিন্তু ভয়ের মধ্যে জীবন যাপন করছেন। সবাই একজোট না হলে করোনাকে হারানো সম্ভব নয়। তাই আমরা এই উদ্যোগ নিলাম। আশা করি এই খেলা থেকে অর্জিত অর্থ করোনা আক্রান্ত মানুষদের কাজে লাগবে।”
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আনন্দ ছাড়াও এই প্রদর্শনী প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন ভারতের আরও চার জন গ্র্যান্ডমাস্টার্স। তাঁরা হলেন কোনেরু হাম্পি, দ্রোণাভালি হারিকা, নিহাল সারিন ও প্রগনানন্দা রমেশবাবু। আনন্দ মনে করেন ভারতবর্ষে দাবা খেলা জনপ্রিয় হোক বা নাই হোক, তিনি সবসময় ভালোবাসা পেয়ে এসেছেন। রাজীব গান্ধী খেলরত্ন থেকে শুরু করে, পদ্মবিভূষণ, কোনও সম্মান নেই, যা তিনি পাননি। এবার এইটুকু দেশবাসীর জন্য ফিরিয়ে দিতে চান।নিজের অন্যতম সেরা বই উইনিং লেসনস ফ্রম আ চ্যাম্পিয়ন্স লাইফে বারবার বলেছেন হার না মানতে। বাস্তব জীবনেও দেশের মানুষের পাশে সেভাবেই দাঁড়াতে চান আনন্দ।

