গ্রামে কর্ম সংস্থান নেই । পাহাড়ি এলাকায় কৃষিকাজ ভাল হয় না। তাই গত কয়েক বছর ধরেই উত্তরাখণ্ডের পাউরি জেলার পাহাড়ি গ্রামগুলি থেকে বাসিন্দারা শহরে চলে গিয়েছেন । জীবনযাত্রার তাগিদে একপ্রকার বাধ্য হয়েই গ্রাম ছেড়েছেন। ফলে আস্তে আস্তে মানবশূন্য হয়েছে গ্রাম। এমনকি অবস্থা এমনই সেগুলি 'ভূতের গ্রাম' নামে পরিচিত হয়ে গিয়েছে । ফলে দিনের বেলাতেও গ্রামে পা রাখেন না আশপাশের মানুষ । ছবির মত প্রকৃতি সাজান পাহাড়ি গ্রামে আসেন না পর্যটক । গ্রামের নাম শুনলেই তেনাদের কথা মনে পড়ে, আর ধারে ঘেঁষেন না কেউ ।
advertisement
আর সেটাই শাপে বর হয়েছে উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের কাছে । প্রথম থেকেই করোনা যুদ্ধে তাই নজির সৃষ্টি করেছে পাউরি জেলা প্রশাসন। তাঁরা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বানিয়ে ফেলেছেন গ্রামে । ভিনরাজ্য থেকে আসা পরিযায়ীদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলিতে রেখে সংক্রমণ রোখার যুদ্ধ জারি । এ প্রসঙ্গে পাউরি জেলার রিখনিকাল ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এসপি থালিয়াল বলেন, ‘বহু পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফিরছেন । তাঁদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার রাখার ক্ষেত্রে জনমানববর্জিত ওই গ্রামগুলি কাজে আসছে । তবে সাধারণ বাসিন্দাদের ছেড়ে যাওয়া বাড়িগুলি এখনও ব্যবহার করার দরকার হয়নি । গ্রামগুলিতে থাকা পঞ্চায়েত ভবন ও স্কুলগুলিতেই প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলা হয়েছে । এখনও পর্যন্ত ৫৭৬ জন ভিনরাজ্যে থেকে আসা মানুষ কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলিতে রাখা রয়েছেন ।’ প্রসঙ্গত, ১৩ মে পর্যন্ত ভিনরাজ্য থেকে ১৯,৮৪৬ জন মানুষ পাউরি জেলার ১০৪৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ফিরেছেন ।