মঙ্গলবার সকালে দেখা যায়, বাঙ্গুর সুপার স্পেশালিটি করোনা হাসপাতালে মূল গেটের বাইরে ফুটপাতের ওপর লোহার ব্যারিকেডের মধ্যে রাখা রয়েছে ব্যবহৃত পি পি ই কিট। রাস্তায় সেগুলির পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
বারবার ধরে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে এই সমস্ত জিনিস সংক্রমণ ছড়াতে পারে ,তাই ওই জিনিসপত্র খোলা জায়গায় রাখা যাবে না। এই বিষয়ে হাসপাতালের কিছু কর্মীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলেন, ‘‘ও গুলি অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভাররা ফেলে যায়।’’ এই কথা শুনে সাধারণ মানুষদের ভয় প্রাণ ওষ্ঠাগত৷ এমনই একজন পথচারী প্রীতম মুখোপ্যাধ্যায় বলেন, ‘' যদি ড্রাইভার ফেলে যায়, তাহলে এখানে পুলিশ কিংবা স্বাস্থ্যকর্মী যারা রয়েছেন তারা কেন বারণ করছেন না? কেন প্রতিদিন এইভাবে করোনা রোগীদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র খোলা রাস্তায় পড়ে থাকছে?'’
advertisement
এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে , তাদের পাওয়া যায়নি। শহর কলকাতার বিভিন্ন জায়গা রয়েছে যেখানে এখনও পর্যন্ত ব্যবহৃত পিপিই কিট পড়ে থাকতে দেখা যায়। সকালবেলা পুর কর্মীরা এসে, সেগুলি তুলে নিয়ে যায়। অনেকের অভিযোগ, যাঁরা ফেলেন তাঁরা ইচ্ছে করে ফেলছেন। রাতের অন্ধকারে হাসপাতাল বা নার্সিংহোমের ডিউটি সেরে ফেরার পথে ফাঁকা জায়গা দেখে ফেলে যাচ্ছেন সবাই। তাঁরা একবারও পর্যন্ত ভাবেন না, যাঁরা ফেলছেন কিংবা যাঁরা পাশ দিয়ে হাঁটছেন ,তাঁদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালের সুপার স্পেশালিটি করোনা বিল্ডিংয়ের সামনের ঘটনায় যথেষ্ট নিন্দা করছেন স্থানীয় মানুষজন।
SHANKU SANTRA