দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, বিগত কয়েকদিন যাবৎ রাজধানীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। কেজরিওয়াল শুক্রবার বলেছেন, 'এ বার সব কিছুই খুলে দেওয়া জরুরি। না-হলে অনাহারে মরতে হবে মানুষকে।' তিনি ঘোষণা করেছেন, 'সোমবার থেকেই শিল্পাঞ্চলের উৎপাদন কেন্দ্রগুলিকে কাজ শুরু করা যাবে।' গত সপ্তাহে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দাবি করেছিলেন, সংক্রমণ হারও ৫ শতাংশের নীচে। লকডাউন করেই কোভিডের দ্বিতীয় ঝড় আটকানো সম্ভব হয়েছে।
advertisement
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এও জানিয়েছিলেন, দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরুতে যেভাবে অক্সিজেন-সহ চিকিৎসার বিভিন্ন সরঞ্জামের জন্য হাহাকার দেখা গিয়েছিল, তা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। যে কারণেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার দিল্লিতে নতুন করে ১১০০ নতুন করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। যদিও এখনই অকারণ বাড়ি থেকে বেরনো বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন কেজরিওয়াল। তিনি বলেছেন, 'দিল্লির করোনার সংক্রমণের হার ১.৫ শতাংশের নীচে চলে এসেছে, তবুও এই লড়াই এখনও শেষ হয়নি।'
এরই সঙ্গে কেজরিওয়াল মনে করিয়ে দিয়েছেন, আনলক শুরু হওয়ার পর যদি ফের করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে, তাহলে ফের লকডাউনের পতেই হাঁটবে দিল্লি। এদিন DDMA-এর তরফে আনলকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ধাপে ধাপে আনলক করা হবে। নজর রাখা হবে টিকাকরণের হারের দিকেও।