স্বাস্থ্য দফতরে জরুরি বৈঠকের সিদ্ধান্ত--
# রাজ্যের যে সরকারি হাসপাতালগুলিতে আইসোলেশন ওয়ার্ড রয়েছে, সেখানে ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড তৈরি করতে হবে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ,ফুসফুস বিশেষজ্ঞ, মাইক্রোবায়োলজিস্ট, ইএনটি,জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এই মেডিকেল বোর্ড তৈরি করা হবে। প্রয়োজন হলে অন্যান্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের এই বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।
# প্রতিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৃথক ফিভার ক্লিনিক গড়ে তুলতে হবে।সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে বা ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গ নিয়ে কেউ হাসপাতালে আসলে তাদেরকে এই ফিফার ক্লিনিকে পরীক্ষা করা হবে।
advertisement
# করোনা আক্রান্তদের জন্য পৃথক আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করতে হবে। এছাড়াও সম্ভব হলে আইসোলেশন সিসিইউ বা ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট করতে হবে। সাধারণ সিসিইউ'তে কোনভাবেই করোনা সন্দেহের রোগীকে আনা যাবে না।
# নতুন তিনটি করোনা ভাইরাস পরীক্ষা কেন্দ্র চালু হতে চলেছে। মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ,উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ এবং কলকাতার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে এই করোনা পরীক্ষা করা যাবে। এছাড়াও দ্রুত মালদা এবং মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে পরীক্ষা কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে।প্রসঙ্গত এখন বেলেঘাটা নাইসেড এবং এসএসকেএম হাসপাতাল এই একমাত্র করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করা যায়।
# করোনা সন্দেহের রোগীদের ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য হাসপাতালে আলাদা বিল্ডিং বা ফাঁকা বিল্ডিংয়ে আইসোলেশন ওয়ার্ড করার প্রস্তাব। সরকারি হাসপাতালের আউটডোর এ আসা অসংখ্য রোগীর ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য এই ব্যবস্থা।
# প্রয়োজন হলে সমস্ত চিকিৎসক-নার্সদের ছুটি বাতিল হবে। বিশেষত মেডিসিন বিভাগ, কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগ এবং শিশু বিভাগ এর চিকিৎসকদের এবং নার্স স্বাস্থ্যকর্মীদের সদা সতর্ক থাকতে হবে।
# পাবলিক এড্রেস সিস্টেম বা বা মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে যেখানে রোগীদের বা রোগীর আত্মীয়দের ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ করা নিয়ে সতর্ক থাকার আবেদন। ভিড় জায়গা এড়িয়ে চলার আবেদন করা হবে।
করোনা নিয়ে অযথা মানুষ যাতে আতঙ্কিত না হয়, বরং অনেক বেশি সতর্ক এবং সচেতন থাকে সেই আবেদনে বারবার করছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
Avijit Chanda