একটা সময় এই দিনটাতে বার পোস্টকে পুজো করে মরশুম শুরু হতো কলকাতার গড়ের মাঠে। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান তো বটেই। গড়ের মাঠের ছোট ছোট ক্লাবগুলোতেও যুগ যুগ ধরে চলে আসছে বার পুজোর ট্র্যাডিশন। বাঙালির নববর্ষের সেই চিরাচরীত ঐতিহ্যেও এবার লকডাউন। বার পুজো মানেই প্রিয় ক্লাবে সদস্য সমর্থকদের ভিড় করে আসা। মিষ্টিমুখ, কোলাকুলি, নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময়।
advertisement
মোহনবাগানে তো এই দিনটাতে বার পুজো উপলক্ষে ভিয়েনও বসে। মরসুমভরের রেষারেষি সরিয়ে রেখে এই দিনটায় মিলে যায় ময়দানের সব রং। মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় লাল-সবুজ-হলুদ-মেরুন। ময়দানের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব সেজে ওঠে আলোর মেলায়। এবার সবকিছুতেই ফুলস্টপ।
ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার শনিবার জানিয়ে দিয়েছিলেন পরিস্থিতির বিচারে এবার পুজো করবেন না তারা। বরং লকডাউন উঠে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আইএফএ-কে অনুরোধ জানাবেন সম্মিলিতভাবে ক্লাবের পক্ষ থেকে ময়দানে একটি পুজো করার।মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বোসও রবিবার জানিয়ে দিলেন, সাম্প্রতিক পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে বার পুজো থেকে সরে আসছেন তারাও।
অর্থাৎ বাঙালির নববর্ষে এবার যেমন হালখাতা নেই। তেমনই বাদ পড়ছে বহু পরিচিত বার পুজো। করোনার তাণ্ডবে বাঙালির নতুন বছরের শুরুটা এবার সত্যিই বর্ণহীন। ফিকে রয়ে গেল ময়দানের বর্ষবরণও।
PARADIP GHOSH
