করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য অবশ্যই সাবধানতা হিসেবে পিপিই কিট ও মাস্ক ব্যবহার করতে হচ্ছে চিকিৎসক নার্স স্বাস্থ্যকর্মীদের। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখন পিপিই কিট রয়েছে দু হাজার পাঁচশো আটান্নটি। কালনা মহকুমা হাসপাতালে পিপিই কিট মজুদ রয়েছে ৯৫ টি। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পিপিই কিট মজুত রয়েছে ১৬৭ টি। ক্যামরি প্রি কোভিড হাসপাতালে পিপিই কিট মজুত রয়েছে ১১৬ টি।
advertisement
এবার কোন হাসপাতালে কতগুলি এন নাইটি ফাইভ মাস্ক মজুও রয়েছে তা দেখে নেওয়া যাক। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এন নাইটি ফাইভ মাস্ক মজুদ রয়েছে ১২৪৫ টি। কালনা মহকুমা হাসপাতালে ৯৫৫ টি এন নাইনটি ফাইভ মাস্ক মজুত রয়েছে। ১৫ টি মাস্ক রয়েছে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। ক্যামরি প্রি কোভিড হাসপাতলে এন নাইনটি ফাইভ মাস্ক মজুত রয়েছে ৪৪০ টি।
তবে পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা পরীক্ষার হার খুবই কম। আর তাতেই উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, যত বেশি সংখ্যক পরীক্ষা করা যাবে তত তাড়াতাড়ি চিহ্নিত করা সম্ভব হবে করোনা আক্রান্তদের। এই পরীক্ষার কাজ থমকে থাকলে যাদের মধ্য দিয়ে করোনা সংক্রমিত হচ্ছে তাদের সংক্রমণ ধরা পড়ার আগেই বহু মানুষ তাতে আক্রান্ত হয়ে পড়ার আশংকা থাকছে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান জেলায় এখনো পর্যন্ত সাকুল্যে ৯৯৬ পরীক্ষা হয়ে করা হয়েছে। তবে ইদানিং সেই পরীক্ষার হার কিছুটা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৩ টি নমুনা পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে আরজিকর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ২০৫টি ও বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আটটি নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
Saradindu Ghosh