এক সাক্ষাৎকারে শুভশ্রী বলেছেন, “করোনা অতিমারী ও লকডাউনের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। সারা দিন ঘরে থাকা, কোনও পরিশ্রম না করা, ঘুমিয়ে সময় কাটানো। আর তার ফলস্বরূপ আন ফিট হয়ে মোটা হয়ে যাওয়া। এই সব কিছু আমাকে কাটিয়ে উঠতে হবে। প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম করতে হবে। এই ব্যায়ামই এখন আমাকে অনুপ্রাণিত করে এবং আমাকে পজিটিভিটি দেয়। এর ফলে ধীরে ধীরে আমি আবার আগের মতো ফিট হয়ে উঠতে পারব। এটাই এখন আমার মেক ওভার মন্ত্র”।
advertisement
অভিনেত্রী বেশ কিছু দিন ধরেই নিজের মেক ওভার শুরু করেছেন। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় একবার ঢুঁ মারলেই দেখা যাবে, তিনি একে বারে আটঘাট বেঁধে নেমে পড়েছেন, তাঁর ফিটনেস ফ্রিক মনোভাব নিয়ে। চলচ্চিত্র জগতে থাকতে হলে সঠিক শেপে থাকা সব সময় প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এটাই এই জগতের প্রতিযোগিতা। এমন অনেক তারকা রয়েছেন যাঁদের ফিটনেস ঈর্ষণীয়। তাঁদের দেখে বহু মানুষ অনুপ্রাণিতও হয়। অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ও এখন তাঁদের বাইরে পড়ছেন না।
ইউভানের জন্মের পর অভিনেত্রী একটু ওয়েট গেইন করেছেন। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে সাইবার বুলিংও করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কী, শুভশ্রী এই সব নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামান না। তিনি প্রথম থেকেই ফিটনেস ফ্রিক। প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়াতে সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগ ইন্ডাস্ট্রির বহু অভিনেত্রীরা করেছেন। সম্প্রতি, টেলিভিশন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস (Shruti Das) থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, তাঁর চাপা রঙের জন্য না কি নানাভাবে কটূক্তি করা হয়েছে। এই নিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন টলিউড অভিনেত্রী পাওলি দামও (Paoli Dam)। আসলে বডি শেমিং বিষয়টি হল আমাদের সমাজের একটা সংক্রমণ। যার শিকার মহিলাদের বারে বারে হতে হয়েছে। এই সংক্রমণ যত তাড়াতাড়ি সমাজ থেকে বিতাড়িত হবে ততই মঙ্গল!