নবান্নের মতে, রীতিমতো কেন্দ্রীয় সচিবের সঙ্গে বৈঠক করে, তাদের দেওয়া মাপকাঠি অনুযায়ী রাজ্যের ৪ জেলাকে রেড জোনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। আচমকাই, সেই তালিকা নস্যাৎ করে, কেন্দ্র যে বিভাজন করেছে সেটা ঠিক নয়। তথ্য, পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে, রাজ্যের জেলাগুলিকে রেড, অরেঞ্জ ও গ্রিন জোনে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার ভিত্তিতেই সোমবার থেকে রাজ্যের জোন ভিত্তিক দোকানপাট খোলা বা যান চলাচল নিয়ে নির্দেশিকা জারি জরতে চলেছে রাজ্য। ঠিক তার আগে, কেন্দ্রের এই তালিকায় নতুন করে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে রাজ্যে।
advertisement
রাজ্যের হিসাবে ৪ টি জেলাকে রেড জোনের অন্তর্ভুক্ত করা হলেও, কেন্দ্রের হিসাবে তা ১০। রাজ্যের সঙ্গে হিসেবের ফারাক মূলত রেড জোনে। রাজ্যের হিসাবে রেড জোনে ছিল কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর। কেন্দ্রীয় তালিকা অনুযায়ী এর সঙ্গে যুক্ত হল আরো ৬ টি জেলা। সেগুলি হল, দক্ষিন ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদা, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং। শাসক দলের মতে, এই ৬ টি জেলার মধ্যে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কালিমপং কে রেড জোনে অন্তর্ভুক্ত করার কোন কারন নেই। কারন, ২১ শে এপ্রিলের পর দার্জিলিং ৪ ঠা এপ্রিলের পর জলপাইগুড়ি, ও কালিম্পং এ গত ২ রা এপ্রিলের পর নতুন করে কেউ আক্রান্ত হন নি। যদিও, সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির বিজেপি সাংসদদের দাবি, রাজ্যের দেওয়া তথ্য সঠিক নয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, '' এ বিষয়ে দলের তরফে আগেই সংশয় প্রকাশ করা হয়েছিল। এখন কেন্দ্রের ঘোষনায় সেটাই প্রমান হল। ঠিক ঠাক করে দেখলে দেখা যাবে, ১০ টি নয়, গোটা রাজ্যটাই রেড জোনে চলে গেছে। "
এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবের চিঠির প্রতিবাদে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বিবেক কুমার আজ সকালে যে চিঠি দেন, সেখানে যে তথ্য দেওয়া হয়, তাতে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩১ জন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কলকাতায় ৪৮৯, হাওড়ায় ১৭৬, উত্তর ২৪ পরগনায় ১২২ ও পূর্ব মেদিনীপুরে ২২ জন। কয়েক ঘন্টা পরেই স্বাস্থ্য দপ্তরের এই তথ্য ঠিক নয়, বলে জানিয়ে দেন মুখ্য সচিব। আর, এই সূত্র ধরেই শোরগোল শুরু করে দেয় বিজেপি সহ বিরোধীরা। বিজেপির দাবি, স্বাস্থ্য দপ্তরের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে গত ২৪ ঘন্টা আগে রাজ্যের দেওয়া তথ্যের বড়সড় অসঙ্গতি রয়ছে। সম্ভবত, সে কারনেই, প্রকৃত তথ্য চাপতে মুখ্য সচিব, স্বাস্থ্য দপ্তরের দেওয়া তথ্য সঠিক নয় বলে জানিয়ে দেন। এই প্রতিবেদন লেখা অবধি সরকারি তরফে গত ২৪ ঘটার করোনা তথ্য প্রকাশ করা হয় নি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তথ্যের এই বিভ্রান্তি সরকারি দপ্তরের মধ্যে সমন্বয়ের আভাব না বিরোধীদের তথ্য নিয়ে কারচুপির অভিযোগ, সেই বিতর্ককেই আবার সামনে এনে দিল।
ARUP DUTTA