TRENDING:

জনতা কার্ফুকে ধর্মঘট ভেবে রাস্তায় নামলেন কিছু মানুষ! অজান্তেই বাড়ছে ঝুঁকি

Last Updated:

করোনার বিরুদ্ধে লড়তে প্রত্যেকটি মানুষই স্বেচ্ছায় নিজেকে গৃহবন্দী করেছেন। কিন্তু এখনও কিছু মানুষ রাস্তাঘাটে মাঠে-ময়দানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। খেলাধুলা করছেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
UJJAL ROY
advertisement

#কলকাতা: করোনা ভাইরাস এর বিরুদ্ধে লড়তে আজ দেশজুড়ে কার্ফুয়ের ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সারাদেশের সঙ্গে কলকাতাতেও কার্ফুতে ভালো সাড়া পড়েছে। রাস্তাঘাট ছিল শুনসান। দোকানপাটও বন্ধই ছিল। রবিবারের ছবিটা যে কোনোও ধর্মঘটকে টেক্কা দেবে। জনতা কার্ফুয়ের মূল লক্ষ্য ছিল মানুষকে ভিড় থেকে সরানো। ভিড় যত কম হবে ভাইরাসের ছড়ানোর আশঙ্কাও ততই কম হবে। মানুষও এই ডাকে ভালই সাড়া দিয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে লড়তে প্রত্যেকটি মানুষই স্বেচ্ছায় নিজেকে গৃহবন্দী করেছেন। কিন্তু এখনও কিছু মানুষ রাস্তাঘাটে মাঠে-ময়দানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। খেলাধুলা করছেন। আড্ডায় মজে রয়েছেন। নিজের অজান্তেই নিজের, পরিবারের এমনকী অনেক মানুষের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ।

advertisement

রাস্তায় গাড়ি কম চলার সুযোগে অন্যান্য সাধারণ ধর্মঘটের মতো রবিবারও অনেক মানুষই নেমেছিলেন রাস্তায় ফুটবল ক্রিকেট খেলতে। অনেকে আবার বসেছিলেন চায়ের দোকানে আড্ডায়। সকালের দিকে রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকলেও বিকেলের দিকে বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন রাস্তায়। রাস্তা ফাঁকা থাকার সুযোগে অনেকে রাস্তায় নেমেছিলেন গাড়িতে হাত পাকা করতে। অনেকে আবার বাচ্চাকে সাইকেল শেখানোর জন্য এই দিনটিকেই বেছে নিয়েছেন।

advertisement

শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে সাইকেল নিয়ে ঘুরতে বেড়িয়েছেন স্বপন সরকার। তিনি বলেন, "ধর্মঘট জীবনে অনেকবার দেখেছি। কিন্তু জনতা কার্ফু সম্পর্কে কোনও ধারণা ছিল না। কৌতূহল মেটাতে বেড়িয়ে পড়েছি। তাছাড়া এদিন রাস্তা ফাঁকা থাকায় সাইকেল চালানো একদিকে যেমন নিরাপদ তেমনই কোনও রাজনৈতিক দলের ধর্মঘট না হওয়ায় রাস্তায় গন্ডগোলে পড়ারও কোনও চিন্তা নেই।" হাতিবাগানে ফুটবল খেলছিলেন এমন এক যুবক জানান, "সারাদিন বাড়িতে বসে থাকতে ভালো লাগছে না। এলাকা শান্তিপূর্ণ  তাই বন্ধুরা মিলে একটু ফুটবল খেলছি।" পার্কসার্কাসের রাস্তায় ক্রিকেট খেলছিলেন জাকির হোসেন, তিনি বলেন, "আমরা মাস্ক পরে খেলছি তাই ভয়ের কোন কারণ নেই।" শ্যামবাজারে ফটিক লাল বিশ্বাস প্রতিদিনের মত আজকেও চা খেতে আসেন। তিনি বলেন, "দীর্ঘদিনের অভ্যাস বসে আজকেও চলে এসেছি তবে ধীরে ধীরে তা কমাতে হবে।"

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

করোনা নিয়ে আতঙ্কিত সারা বিশ্ব। এদেশেও তার আঁচ পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। রবিবার জনতা কার্ফু-র ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার থেকে লক ডাউনের ঘোষণা করেছে রাজ্য। সরকারের তরফে মানুষকে সচেতন করতে প্রচার চালানো হচ্ছে। সেই সময় এখনও কিছু মানুষ উদাসীনতা তাঁদের নিজেদের, তাঁর পরিবারের একইসঙ্গে অনেক মানুষের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কায় বিশেষজ্ঞরা। তাই সংখ্যায় কম হলেও এই সব মানুষদেরও বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা ।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
জনতা কার্ফুকে ধর্মঘট ভেবে রাস্তায় নামলেন কিছু মানুষ! অজান্তেই বাড়ছে ঝুঁকি
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল