এ বারের মর্মান্তিক চিত্রটি উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বাহারিক জেলায় । সেখানকার একটি সরকারি হাসপাতালে দেখা গেল স্ট্রেচারে প্রায় নিস্তেজ হয়ে শুয়ে রয়েছেন এক মহিলা । অক্সিজেন লেভেল দ্রুত কমে আসছে তাঁর । কিন্তু বহু চেষ্টা করেও পরিবারের লোকেরা তাঁর জন্য অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে পারেননি । তাই উপায়ন্তর না দেখে কোভিড আক্রান্ত মৃত্যু পথযাত্রীকে মা’কে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা করছে দুই মেয়ে । মায়ের মুখে নিজেদের মুখ রেখে অক্সিজেন ভাগ করে নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে তারা । মা’কে পুনরুজ্জীবিত করার (mouth-to-mouth resuscitation) চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা । অনেক সময় শ্বাসকষ্টে ভোগে রোগীকে এ ভাবে মুখের মধ্যে শ্বাসবায়ু (অক্সিজেন) দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়ে থাকে ।
advertisement
গত শনিবার এই দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় । যেখানে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার বারবার সংবাদ মাধ্যমের সামনে দাবি করেছে, তাদের রাজ্যে কোনও হাসপাতালে অক্সিজেনের ঘাটতি নেই, সেখানে এমন দৃষ্য প্রকাশ্যে আসায় স্বভাবতই অস্বস্তিতে প্রশাসন । এর আগেও উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় প্রায় এমনই এক দৃশ্য ভাইরাল হয়েছিল । সেখানে অক্সিজেন না পেয়ে, হাসপাতালে বেড না পেয়ে, অটোয় বসে বসেই এক মহিলা তাঁর স্বামীকে মুখে শ্বাসবায়ু দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন । সে ক্ষেত্রেও অবশ্য ওই ব্যক্তিকে বাঁচানো যায়নি ।
বাহারিক জেলার সরকারি ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার আথিসাম আলি জানান, ওই মহিলার অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক ছিল । চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা করতে করতেই তিনি মারা যান । ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসেন জেলা প্রশাসক শম্ভূ কুমার । অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে ওই মহিলাকে পরীক্ষা করেন তিনি ।
মহারাজ ডঃ একে সাহানি বলেন, ‘‘যখন ওই মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, তখনই তাঁর অবস্থা ভাল ছিল না । সেটা তাঁর পরিবারের লোকজনরাও মেনে নিয়েছেন । মহিলার দুইমেয়ে আবেগপ্রবণ হয়েই মুখ দিয়ে শ্বাসবায়ু দিয়ে মা’কে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল । হাসপাতালে অক্সিজেনের ঘাটতি নেই ।’’