আমাদের দেশেও চলছে লক ডাউন। আগামী ৩ মে পর্যন্ত লক ডাউন জারি করা হয়েছে। এর মেয়াদ বাড়বে কী না তা জানা যাবে কিছুদিনের মধ্যেই। করোনা মোকাবিলায় জনসমাগম এড়িয়ে চলতেই এই বার্তা প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রীর। লক ডাউনের জেরে সমস্যা যে বাড়ছে দিন মজুরদের তা স্বীকারও করে নিয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্র। কিন্তু বিকল্প কোনও পথ যে খোলা নেই। লক ডাউনের যেরে চরম বিপাকে শিলিগুড়ি লাগোয়া ডাবগ্রামের হাতিয়াডাঙা, নীচ পাড়া-সহ একাধিক এলাকা। হাজার হাজার শ্রমিক, দিন মজুর, পরিচারিকার বসবাস এই এলাকায়। গোটা গ্রাম করোনার জেরে এখন গৃহবন্দি। কাজ নেই। ফলে খাবারও নেই। রেশনে যে সামগ্রী মিলছে তা দিয়ে কোনওক্রমে চলছে সংসার। তবু পেটপুরে খাওয়া আর হয়ে উঠছে না। অনেকেই এগিয়ে এসছেন। দাঁড়িয়েছেন এই হতদরিদ্র পরিবারদের পাশে। কিন্তু লম্বা সময়ের লক ডাউন চলছে। কোনওদিন ডাল, ভাত, সোয়াবিনের সবজি। আবার কোনওদিন ডিমের ঝোল আর ভাত।
advertisement
গত কয়েক দিন ধরেই ওই এলাকায় রান্না করা খাবার তুলে দিচ্ছেন "আমরা ক'জন" নামে একটি সংগঠন। কমিউনিটি কিচেন তৈরী করেছেন। বড় এলাকা হওয়ায় ভাগ ভাগ করে চলছে তাদের কমিউনিটি কিচেন। আজ চতুর্থ পর্যায়ে তারা তিন দিনের জন্য কমিউনিটি কিচেন চালু করল হাতিয়াডাঙা, চন্দরনগর এলাকায়। স্থানীয় আশিঘর ফাঁড়ির পুলিশের সহযোগিতায় চলল রান্না করা খাবার বিলি। আজ প্রায় ৫০০ জনের হাতে খাবার তুলে দেয় সংগঠনের সদস্যরা। রীতিমতো সামাজিক দূরত্ব মেনে এক এক করে প্রত্যেকের হাতে তুলে দেওয়া হয় খাবার। সংগঠনের অন্যতম সদস্য সম্পা দাস জানান, এই সময়ে এখানকার মানুষেরা অসহায়। কাজ নেই। খাবার পাচ্ছে না। তাই সাধ্যমত আমরা এগিয়ে এসেছি। আগামী তিনদিন এই এলাকায় চলবে। পরবর্তীতে অন্য এলাকায় চালু করা হবে কমিউনিটি কিচেন।
Partha Sarkar