সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন ওঠে, ডেথ সার্টিফিকেট যখন ইস্যু করা হচ্ছেই, তখন আলাদা বিশেষ সার্টিফিকেটের প্রয়োজনীয়তা ঠিককোথায়? এই প্রসঙ্গে ফিরে যেতে হবে এইচ.এ. শ্রীরাজলক্ষ্মী (HA Shrirajalakshmi) নামের জনৈক ব্যক্তির মাদ্রাজ হাই কোর্টে দায়ের করা এক মামলার প্রসঙ্গে। শ্রীরাজলক্ষ্মী আদালতের কাছে আপিল করেছিলেন যে ডেথ সার্টিফিকেটে কোভিড ১৯-এ সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে, এই কথাটি স্পষ্ট ভাবে লেখা থাকা জরুরি। সেক্ষেত্রে যদি মৃত ব্যক্তির কর্মপ্রতিষ্ঠান বা সরকারের তরফে কোনও ক্ষতিপূরণের ঘোষণা থাকে, তা থেকে বঞ্চিত হতে হবে না মৃতের পরিবারকে। অন্তত আর্থিক সাহায্যটুকু সেক্ষেত্রে তাঁদের পরিবারের হাল ধরতে সাহায্য করবে। শ্রীরাজলক্ষ্মীর এই দাবিকে যুক্তিসঙ্গত বলতেই হয়। শুধু উপার্জনশীল ব্যক্তির অভাবে পারিবারিক সঙ্কটই নয়, সঙ্গে রয়েছে কোভিডে চিকিৎসারও খরচ। সব দিক দেখে দেখলে ক্ষতিপূরণ প্রয়োজনীয় তো বটেই!
advertisement
জানা গিয়েছে যে এই মামলাটি প্রথমে উঠেছিল প্রধান বিচারক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Sanjib Banerjee) এবং বিচারক সেন্থিলকুমার রামমূর্তির (Senthilkumar Ramamoorthy) বেঞ্চে। তাঁরা প্রথমে যাবতীয় অনুসন্ধানের জন্য ১০ দিন সময় নিয়েছিলেন। অবশেষে বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রামমূর্তির বেঞ্চের তরফে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে এবার থেকে কোভিড ১৯-এ মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ডেথ সার্টিফিকেটের সঙ্গে দিতে হবে আলাদা বিশেষ সার্টিফিকেট, যেখানে করোনায় সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুর উল্লেখ থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাউন্সিলও এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে মাদ্রাজ হাই কোর্টকে জানিয়েছে যে রাজ্য সরকারের কাছে এই নির্দেশ পৌঁছে দেওয়া হবে এবং আবেদনাধীন বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টেরও বিষয়গোচর করা হবে।