একইসঙ্গে সিএমআইইয়ের পূর্বাভাস বলছে, মে'র শেষে বেকারত্বের হার ১২ শতাংশে ঠেকতে পারে। যা এপ্রিলের শেষে ছিল ৮ শতাংশ। অর্থাৎ সেই সময় দেশে চাকরি হারিয়েছেন আরও মানুষ। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে ব্যাস জানিয়েছেন, সেই পরিসংখ্যান থেকেই ইঙ্গিত মিলছে যে ওই সময় এক কোটির বেশি মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। 'মূলত' করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে চাকরি হারাতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘অর্থনীতি খুলতে শুরু করলে আংশিকভাবে সমস্যার সমাধান হবে। তবে সম্পূর্ণভাবে সেই সমস্যা মিটবে না।’
advertisement
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে লকডাউনের মধ্যে গত বছর মে'তে ভারতে বেকারত্বের রেকর্ড ২৩.৫ শতাংশে ঠেকে গিয়েছিল। লকডাউনের পরে অর্থনীতি কিছুটা গতি পেলে পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়। তবে সেই ইতিবাচক প্রবণতা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আগেই ভারতে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ।
ব্যাস বলেছেন, "অর্থনীতি যখন খুলবে, এই সমস্যার আংশিক সমাধান হবে, তবে পুরোপুরি সমাধান এখনই সম্ভব নয়। তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে, চাকরি হারানো লোকেরা কর্মসংস্থান পেতে অসুবিধার মুখে পড়েন। একটা কাজ হারিয়ে আর একটা উন্নতমানের কাজের সুযোগ পাওয়া সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এক বছরে অনেকেই সেই সুযোগ পাননি। সিএমআইইয়ের চিফ এগজিকিউটিভ এও জানিয়েছে, ভারতীয় অর্থনীতিতে তিন-চার শতাংশ বেকারত্বের হার একেবারে ‘স্বাভাবিক’ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। তা থেকেই স্পষ্ট ইঙ্গিত যে অদূর ভবিষ্যতেও বেকারত্বের হারের খুব একটা উন্নতি হবে না।
যদিও সিএমআইইয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, করোনার মধ্যে দেশের মানুষ যে আর্থিক টানাপোড়েনে আছেন, তা একেবারে স্পষ্ট। গত এপ্রিলে দেশের ১.৭৫ লাখ পরিবারে সমীক্ষা চালিয়েছিল সিএমআইই। ব্যাস জানিয়েছেন, সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে মহামারীর পর থেকে তিন শতাংশ পরিবারের আয় বেড়েছে। কারণ এই সমীক্ষায় মাত্র তিন শতাংশ বলেছেন সে কথা। আর ৫৫ শতাংশ বলেছেন, তাঁদের আয় অনেক কমেছে। বাকি ৪২ শতাংশ লোক বলেছেন যে, আয়ের পরিমাণ আগের মতোই রয়েছে। ব্যাস বলেন, "আমরা যদি মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য করি, আমরা দেখতে পাই যে, দেশের ৯৭ শতাংশ পরিবারে সময়ে আয় হ্রাস পেয়েছে।"