TRENDING:

ধীরে ধীরে ফুরিয়ে আসছে বেবিফুডের জোগান, চিন্তায় হাওড়ার বাবা-মায়েরা

Last Updated:

দেড় মাসের কাছাকাছি লকডাউন চলছে। বেবি ফুড দীর্ঘদিন গোডাউনে পড়ে থাকছে। যা আস্তে আস্তে মেয়াদ উত্তীর্ণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#হাওড়া: কেন্দ্রীয় সরকার ১৭ ই মে পর্যন্ত তৃতীয় দফায় লকডাউন ঘোষণা করেছে। রেড জোন, গ্রিন জোন,অরেঞ্জ জোন- তিনটি ভাগে ভাগ করেছে, রাজ্যের জেলাগুলিকে। হাওড়া শহর রেড জোন হওয়ার কারণে প্রায় অবরুদ্ধ। পুলিশি সক্রিয়তাও চোখে পড়ার মতো। এই আবহে বেবি ফুড নিয়ে বড় সমস্যায় পড়ছেন শিশুর বাবা-মায়েরা।
advertisement

বেশ কিছু কোম্পানির বেবি ফুড রয়েছে ,যেগুলো শূন্য মাস থেকে ছমাস পর্যন্ত কিংবা ছয় মাসের বেশি শিশুদের খাওয়ানো যায়। সেই বেবি ফুড দোকানে গিয়ে না পেয়ে হন্যে হয়ে বাজার খুঁজতে হচ্ছে বাচ্চার বাবা-মাকে। আগে থেকে বরাত দিয়ে রাখতে হচ্ছে মিলছে না বাচ্চার খাবার। দোকানদারদের বক্তব্য, বেবি ফুড সরবরাহ সম্পূর্ণরূপে নেই। বাজারে শতকরা ৪০ ভাগ বেবিফুড সরবরাহের ঘাটতি রয়েছে। বেবি ফুড বেশিরভাগ বাগরি মার্কেট, মেহেতা বিল্ডিং এই দুটি মার্কেটের পাইকারি বিক্রেতাদের কাছ থেকে পাওয়া যায়। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকাতে বেবি ফুড এর স্টকিস্ট রয়েছে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী,হাওড়া জালান কমপ্লেক্স অর্থাৎ ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন এ বেশির ভাগ ডিস্ট্রিবিউটরের গোডাউন রয়েছে। কোম্পানি থেকে সরাসরি মালপত্র এসে ওখানেই মজুত হয়। লকডাউন এর ফলে একদিকে শ্রমিকরা আসতে পারছে না কাজে। এই শ্রমিকরা ট্রেনে ,বাসে করে শহরের বাইরে গ্রাম থেকে আসে। পরিবহন বন্ধ থাকার জন্য তারা আসতে পারছে না। অন্য দিকে পণ্যবাহী পরিবহণ চালানোর ড্রাইভার,খালাসি পাওয়া যাচ্ছে না।

advertisement

এর ওপর হাওড়া রেড এলার্ট করা রেড জোন। দেড় মাসের কাছাকাছি লকডাউন চলছে। বেবি ফুড দীর্ঘদিন গোডাউনে পড়ে থাকছে। যা আস্তে আস্তে মেয়াদ উত্তীর্ণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বেবিফুডের মেয়াদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডক্টর প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, "এই সমস্ত ধরনের শিশু খাদ্য প্রস্তুতুতের তারিখের থেকে যতটা, তাড়াতাড়ি শিশুদের খাওয়ানো যায় ততটাই ভালো। কারণ যত দিন যাবে তত বায়োকেমিক্যাল বিক্রিয়ার ফলে মেয়াদ উত্তীর্ণের দিকে এগোতে থাকবে এই শিশু খাদ্য।"

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

কিন্তু পাইকারি বিক্রেতাদের দাবি, এই ভাবে যদি লকডাউন আরো বেশ কিছুদিন চলতে থাকে। সরকার পণ্য পরিবহন নিয়ে চিন্তাভাবনা না করে ,তাহলে শিশু খাদ্য যোগান দেওয়া মুশকিল হয়ে পড়বে।সরকারকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহনের বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে,দাবি ব্যবসায়ীদের।

বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
ধীরে ধীরে ফুরিয়ে আসছে বেবিফুডের জোগান, চিন্তায় হাওড়ার বাবা-মায়েরা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল