বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা । সেই মন্দিরে প্রতিদিন অগণিত ভক্ত ভিড় করেন । দীর্ঘ লকডাউন পর্ব কাটিয়ে গত সপ্তাহের গোড়ায় মন্দিরের দরজা ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল । তবে মন্দিরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সহ নানান সাবধানতা অবলম্বন করা হচ্ছে । করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে একসঙ্গে দশ জনের বেশি ভক্তকে মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না । মন্দিরের প্রবেশদ্বারে প্রথমে থার্মাল গানে ভক্তদের দেহের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে । এরপর স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করার পরই মিলছিল মন্দিরে ঢোকার ছাড়পত্র । মন্দিরে ঢোকার ক্ষেত্রে মুখে মাস্ক লাগানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ।
advertisement
এরপর আজ যুক্ত হল স্যানিটাইজিং টানেল । ভক্তরা সেই টানেলের ভেতর দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তাদের শরীরের বাইরের অংশ জীবাণুমুক্ত হয়ে যাবে । মন্দির থেকে বের হওয়ার সময় সেই টানেল ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই । মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্ধমান শহরের এক ব্যবসায়ী পরিবার এই টানেল মন্দিরে দেওয়ার ব্যাপারে ইচ্ছা প্রকাশ করে । তারাই এই টানেল বসিয়েছে । আপাতত এই স্যানিটাইজিং টানেলের তারাই পরিচর্যা করবে ।
বর্ধমান সর্বমঙ্গলা মন্দির ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক সঞ্জয় ঘোষ বলেন , প্রশাসনের পরামর্শ মেনে এতদিন বাসিন্দাদের নানাভাবে জীবাণুমুক্ত করে মন্দিরে প্রবেশ করানো হচ্ছিল । স্যানিটাইজিং টানেল বসায় সেই কাজে আরও সুবিধা হল । আপাতত ব্যবসায়ী পরিবার এই টানেল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সামলাবে । পরবর্তী সময়ে মন্দির কর্তৃপক্ষ তার পরিচর্যার ভার গ্রহণ করবে ।
Saradindu Ghosh