আগে ব্যবহার হত চা বাগান বা আম বাগানে। পোকার আক্রমণ থেকে বিভিন্ন গাছকে বাঁচাতে কীটনাশক স্প্রে করা হত। কিন্তু সেই যন্ত্রই এখন করোনা যুদ্ধের প্রধান হাতিয়ার।
পুলিশ, দমকল ও পুরসভার কর্মীরা যে যন্ত্র নিয়ে বিভিন্ন এলাকা স্যানিটাইজ করছেন, তা আর কিছু নয় ওই পোকা মারার স্প্রে।
পোকা মারার যন্ত্রেই স্যানিটাইজেশন হচ্ছে৷ জীবানুনাশক সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট মিশ্রন স্প্রে করা হচ্ছে ৷ করোনা সংক্রমণের পর বাজারে এই যন্ত্রের চাহিদা বেড়েছে কয়েক গুণ।
advertisement
আগে বছরে মাত্র কয়েকটি যন্ত্র বিক্রি হত। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণ ভারতের চা বাগানেই চাহিদা ছিল। এখন সেই পোকা মারার যন্ত্রের চাহিদা তুঙ্গে। গত দেড় মাসে ২২০টির বেশি যন্ত্র বিক্রি হয়েছে। পুলিশ, দমকল ও পুরসভা প্রতিদিনই বরাত পাঠাচ্ছে।
সাধারণ পাইপ দিয়ে জীবানুনাশক সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট স্প্রে করলে তা দেওয়াল বা মেঝেতে ধরে রাখতে পারে না। কিন্তু এই যন্ত্র দিয়ে স্প্রে করলে তা কুয়াশার মতো ছড়িয়ে যায়। ফলে অনেক্ষণ ধরে জীবানুনাশকের কাজ করে।
এখন শুধুমাত্র সরকারি দফতরকেই এই যন্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে। পরে বেসরকারি সংস্থাকেও এই যন্ত্র বিক্রির ভাবনা রয়েছে। এমনকী, বাড়িতেও ব্যবহার করা যায় ছোট যন্ত্র।