সোমবার বিধিনিষেধের নতুন নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে রাজ্যের হোটেল-রেস্তোরাঁ-বার-গুলি পূর্ণ সময় খোলা না গেলেও শর্ত মেনে বেলা ১২ টা থেকে রাত্রি ৮ টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। ৫০ শতাংশ আসনে বসার অনুমতি দেওয়া যাবে। সেইসঙ্গে কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে করোনা বিধি নিষেধ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এর আগেই বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকের পরে জানিয়েছিলেন হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলার ক্ষেত্রে কর্মীদের করোনা ভাইরাসের টিকা নেওয়া আবশ্যিক করতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলিকে টিকাকরণের উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
advertisement
প্রসঙ্গত, নয়া বিধিনিষেধ অনুযায়ী করোনা শর্তাবলী মেনে খোলা যাবে শপিংমলগুলি। জানানো হয়েছে শপিং মলের দোকানগুলি খুলতে পারে ২৫ শতাংশ কর্মচারী নিয়ে। তাঁদের টিকাকরণের কথাও আগেই বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শপিংমলে মোট যা স্থান সংকুলান তার ৩০ শতাংশ থাকতে পারবেন বলেও এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। বাজার খোলা থাকবে বেলা ১১ টা পর্যন্ত। অন্যান্য দোকানগুলো সকাল ১১ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত খোলা যাবে।
এদিকে বিজ্ঞপ্তি না বেরলেও মুখ্যমন্ত্রীর ইঙ্গিত অনুযায়ী ১৬ তারিখ থেকে খোলার আশায় প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে শহরের নামী-দামী হোটেল-রেস্তরাঁগুলি। কারণ ওইদিনই জামাইষষ্ঠী। তাই ইতিমধ্যেই আগে থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে টেবিল বুকিং। তবে এবার আর দুপুরের ভুরিভোজ নয়, সন্ধে অথবা রাতের খাবারের জন্যই হচ্ছে টেবিল বুকিং। তবে রেস্তরাঁর মালিকরা জানাচ্ছেন, ওইদিন রেস্তরাঁ খুলছে ধরে নিয়েই প্রচুর মানুষ আগে থেকে বুকিং করে রাখছেন। তবে রেস্তোরাগুলির তরফে জানানো হয়েছে সরকারি নির্দেশ হাতে এলেই নিশ্চিত কড়া হবে বুকিং। সেই সঙ্গে জানানো হবে মেনুও।