TRENDING:

করোনার জেরে গ্রামবাসীদের মানসিক সমস্যা? বিনামূল্যে মিলছে কাউন্সিলিং-এর পরিষেবা

Last Updated:

এই জটিল পরিস্থিতিতেও যাতে মানসিকভাবে জোগানো যায় বল, তাই এমন উদ্যোগ আনন্দধারার।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#বীরভূম: শহর ছাড়িয়ে সাইকোলজিক্যাল কাউন্সিলিং-এর পরিষেবা এবার বীরভূমের আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামে। বীরভূমের সিউড়ীর পুরন্দরপুরের আনন্দফহারা স্বধার গৃহ হোমে এই উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের সাহায্য করছে জার্মান ডাক্তার ও জয় প্রকাশ ইন্সিটিটিউট ফর সোশাল চেঞ্জ। করোনা ভাইরাসের জেরে লকডাউন,  বিধিনিষেধ,  কনটেইনমেন্ট জোন, এইসব অতিষ্ঠ করে তুলেছে মানুষের জীবনকে।  প্রথম ঢেউ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। ফলত প্রচন্ডভাবে আতঙ্কিত মানুষ। এই করোনা রুখতে সরকার বার বার করছে বিধিনিষেষ। আর এর জেরে বীরভূমের সিউড়ী শহরের পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে যারা শহরে কাজে আসতেন, তাদের অনেকেই হারিয়েছেন কাজ। শ্রমিক হোক বা কোন দোকানের কর্মচারী আংশিক সময়ের কাজে আর্থিক ভাবে হচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্থ। আবার অন্যান্য রাজ্যে এই লকডাউনের জেরেই দূর দূরান্ত থেকে ফিরে আসছে গ্রাম থেকে শহরে কাজে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকের দল।
advertisement

তাই বর্তমানে করোনাকে কিছুটা রুখতে পারলেও মানসিক চিন্তায় ভুগছেন অনেকে। বিশেষ করে গ্রামের দিন আনা দিন খাওয়া মানুষরা। যারা লকডাউনের জেরে কাজ হারিয়ে বসে আছেন বাড়িতে । তাদের মাথায় একরাশ চিন্তা । এই লকডাউনে কিভাবে চলবে সংসার, কিভাবেই বা জুটবে দুবেলা খাবার! দিনের পর দিন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন তারা। তাই, ঠিক তাদের কথা মাথায় রেখে এগিয়ে আসে আনন্দধারা স্বধার গৃহ হোমের কর্মীরা।। শহরের মানুষ তাদের প্রয়োজনে ছুটে যায় মনোবিদের কাছে৷ কিন্তু তেমন পরিষেবা পান না এই গ্রামের মানুষগুলো। তাই এরা মনোবিদের নম্বর  পৌঁছে দিচ্ছেন এই সমস্ত গ্রাম গুলিতে প্রচারের মাধ্যমে। যে নম্বরে মানুষ ফোন করলে মানসিক চাপ অনেকটাই কাটিয়ে দিচ্ছেন এই কাজের সাথে যুক্ত মনোবিদরা। সেই প্রত্যন্ত গ্রাম গুলোই লক্ষ নিয়েই কাজে নেমেছেন তারা।

advertisement

যেখানে বর্তমানে প্রচন্ডভাবে প্রয়োজন মানুষের মানসিক বল। এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে তারা পৌঁছে যাচ্ছে মানুষের কাছে, তাদের প্রয়োজনে। তাদের সাহায্য করছে এই সংকটময় পরিস্থিতিতে মানসিক ভাবে শক্ত থাকতে। তাদের পরিষেবা যাতে প্রত্যেক গ্রামে গ্রামে প্রত্যেকটা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত মানুষেরা পান, তার জন্য তারা দিয়েছেন  মোবাইল নম্বর। যেখানে বেঁধে দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট কিছু সময়সীমা। যে সময় সীমার মধ্যে ফোন করে সমস্যার কথা জানালেই হবে মুশকিল আশান। তৎক্ষণাৎ পৌঁছে যাবে এই আনন্দধারার কিছু সেবক । যারা সঙ্গে সঙ্গে করবে সেই সমস্যার সমাধান।

advertisement

এই জটিল পরিস্থিতিতেও যাতে মানসিকভাবে জোগানো যায় বল, তাই এমন উদ্যোগ আনন্দধারার। সাড়াও মিলছে ভাল,  মানসিক ভাবে ভেঙে পড়া অনেকেই বর্তমানে সুস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংস্থার কর্মীরা। আনন্দধারা স্বধার গৃহ হোমের সুপার আয়েশা সুলতানের জানিয়েছেন মূলত গ্রামের পিছিয়ে থাকা মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এই উদ্যোগ।

বাংলা খবর/ খবর/করোনা ভাইরাস/
করোনার জেরে গ্রামবাসীদের মানসিক সমস্যা? বিনামূল্যে মিলছে কাউন্সিলিং-এর পরিষেবা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল