এদিন সকালে ট্যুইটারে দুই করোনাবর্ষের দুই সমস্যার কথা তুলে ধরেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি লেখেন, "করোনার প্রথম তরঙ্গে হঠাৎ করে লকডাউন ডেকে আনায় বহু মানুষ কোভিডের চেয়েও অশেষ দুর্দশার মধ্যে পড়েছিলেন। আর দ্বিতীয় দফায় করোনা নয়, অক্সিজেন, ওষুধ আর হাসপাতালের অভাবে আরও বেশি মানুষ মারা যাবে।"
এখানেই না থেমে প্রশান্ত কিশোর লিখেছেন, "সরকারের অপরিণামদর্শীতা আর পরিকল্পনার অভাব দুই ক্ষেত্রেই দায়ী।"
প্রসঙ্গত এতদিন প্রশান্তকিশোরের ট্যুইটারে পিন টু টপ ছিল তাঁর সেই বিখ্যাত পোস্ট, যেখানে তিনি দাবি করেছিলেন বিজেপি বাংলায় ১০০ আসনও পেরোতে পারবে না। কিন্তু এখন তা সরিয়ে পিন টু টপ ২০২০ সালের ৫ জুনের একটি পোস্ট। যেখানে প্রশান্ত কিশোর লিখেছিলেন করোনা দুর্যোগ বাস্তব। আর সরকারের সমস্ত মিথ্যে প্রতিশ্রুতি একদিন ফাঁস হবেই। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, এই স্তম্ভের নীচে থাকা মানুষজন সবচেয়ে বেশি মূল্য দেবে এই বিপর্যয়ের।
কেন এই ট্যুইট পিন টু টপ। মনে করা হচ্ছে, পিকে এই কাজটি করেছেন কৌশলেই। শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিবিরই নয়, পিকে ক্রমেই কেন্দ্রবিরোধি রাজনীতির চাণক্য হয়ে উঠছেন একথা অনেকেই মনে করছেন। সেক্ষেত্রে এই মুহূর্তে কেন্দ্র বিরোধী রাজনীতির সুরটা কী হবে তাই বেঁধে দিতে চাইছেন তিনি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত অক্সিজনে থেকে ভ্যাকসিন-করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রর ব্য়বস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুলছেন রাহুল গান্ধি, অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। সেই সময়েই পিকের নতুন চাল, জনমানসে এর সাড়া কতটা পড়ে সেটাই দেখার।
