সূত্রের খবর, আর্থিক ধাক্কা সামলানোর বিষয়টিকেই এই পরিস্থিতিতেপাখির চোখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই জন্যেই তরুণ বাজাজ ও এ কে শর্মাকে সরানো হচ্ছে আর্থিক পদে। ১৯৮৮ সালের হরিয়ানা ক্যাডার অফিসার তরুণ বাজাজ দায়িত্ব নিতে চলেছেন আর্থিক সেক্রেটারির। আর ওই বছরের গুজরাট ক্যাডারের অফিসার এ কে শর্মা ছোট ও মাঝারি দফতরের দায়িত্ব নিতে চলেছেন।
advertisement
কে শর্মা এই দফতরে আসছেন অতনু চক্রবর্তীর জায়গায়। তাঁর মেয়াদ ফুরোচ্ছে এই মাসেই। আমলা মহলে জল্পনা ছিল, অতনু চক্রবর্তীকে মেয়াদ ফুরোনোর পরেও রেখে দেওয়া হবে। য়েমনটা করা হয়েছে স্বাস্থ্যসচিব প্রীতি সুদানের ক্ষেত্রে। তবে সূত্রের খবর, অকারণ মেয়াদবৃদ্ধির পক্ষপাতি নন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর জায়গায় কে শর্মাকে বসানোর সিদ্ধান্তই বুঝিয়ে দিচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী অশনি সংকেত দেখতে পাচ্ছেন। এবং তা মোকাবিলার জন্যে মজবুত আর্থিক দাওয়াই খুঁজছেন।
অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করছেন, এই মাঝারি ও ছোট শিল্পদ্যোগগুলির অন্তত ৩০ শতাংশ করোনা পরবর্তী সময়ে অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারবে না। অথচ দেশের জিডিপির এক তৃতীয়াশই আসে এই ক্ষেত্র থেকে। রফতানি বাবদ অর্থের ৫০ শতাংশ আনে এই ক্ষেত্রেই। অতএব এই ক্ষেত্রটির মেরুদণ্ড কী ভাবে শক্ত করা যায়, তার সঠিক পরিকল্পনা করাই এই মুহূর্তে লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রীর। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত, সময় নিয়ে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন আমলারা। এই কারণেই দ্বিতীয় দফার আর্থিক প্যাকেজও ঘোষণা করছেন না প্রধানমন্ত্রী।